[ বেদ যজ্ঞ করে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দাও জীবের সনাতন ধর্ম ও তার রূপ কেউ
পরিবর্তন করতে পারেন না।]
এই পৃথিবীর বুকে মহান অবতার এসেও মানুষ বা জীবের
সনাতন ধর্ম ও তার রূপের পরিবর্তন ঘটাতে পারেন না। যারা এই বিশ্বে ধর্মের নামে
মানুষকে পথভ্রষ্ট করে চলেছেন তারা এই মহাসত্যকে না জেনেই নিজ নিজ সম্প্রদায়ের
ধর্মকে বিশাল ও মহাসত্য ভাবছেন। একজন মানুষ –ঘোড়া- গাভী- গাধা বা যে কোন জড় বা জীব
হিন্দু থেকে মুসলমান বা মুসলমান থেকে খ্রিষ্টান হলেই সে নিজের সনাতন ধর্ম- রূপ-
স্বভাব- চরিত্র কোনটাই পরিবর্তন করতে পারেন না। তাই মানব সৃষ্ট ধর্ম – ধর্মীয়
শাস্ত্রবিধান বা আচার অনুষ্ঠান কেবল দল বা গোষ্ঠীর সংগঠন বাড়াবার জন্যে সৃষ্টি হয়ে
থাকে। এসবের সাথে মানুষের আধ্যাত্মিক জ্ঞান বা জীবন যুক্ত থাকে না। মানুষ
বুদ্ধিমান জীব নিজেদের নিরাপত্তা –পদ- অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যে এই সব সংগঠন
সৃষ্টি করে থাকেন সেই এক ঈশ্বর ও এক সনাতন ধর্মকে কেন্দ্র করেই নিজেদের স্বার্থে।
তাই কালের কবলে এগুলির যেমন জন্ম হয় তেমনি বিনাশ হয়ে যায়—এদের অস্তিত্ব সাময়িক
কালের জন্যে প্রতিভাত হয়। তাই মানুষের উচিত নিজের জ্ঞান- বুদ্ধি- বিবেক – শক্তির
উপর ভর করে নিজ আত্মাকে এই পার্থিব জগতের ধর্মের কলুষতা থেকে মুক্ত রেখে কেবল
নিজের সনাতন রূপকে উজ্জ্বল করে প্রকাশিত ও বিকশিত করা। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ
শান্তিঃ।