[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও যারা গো-মাংস ভক্ষণ করছেন ও গো-হত্যায় উৎসাহ
দিচ্ছেন তাঁরা সকলেই বিকৃত রুচির মানুষ।]
গো শব্দের অর্থ জ্যোতিঃ বা জ্ঞান। বেদের যুগে এই
গো ভক্ষণ অর্থাৎ জ্যোতিঃ বা জ্ঞান ভক্ষণ করে মানুষ জ্ঞানের রাজত্বে সদায় বাস
করতেন। আর এই গো-সম্পদ ছিল এই জ্যোতিঃ বৃদ্ধির সহায়ক মানব জীবনে। তাই সেই যুগে গো-
মেদ যজ্ঞ করা হতো। এই যজ্ঞের মাধ্যমে কিভাবে গোপালন করে তাদের সুস্বাস্থের অধিকারী
করে ধরে রাখা যায় তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। গোমুত্র- গোবর – গোদুগ্ধ সবকিছুই
ঈশ্বরের পূজায় লাগতো ও সেসব উপাদান থেকেই তৈরী হত ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার
ভোগসামগ্রী। দুগ্ধজাত সামগ্রী ছাড়া বেদ যজ্ঞ করা সম্ভব নয় আর বেদ যজ্ঞ ছাড়া
ঈশ্বরের জ্যোতিঃ লাভ করে মানব জীবন ধন্য করা সম্ভব নয়। তাই বুদ্ধিজীবীদের কাছে
আবেদন সত্যকে বিকৃত করে মানব সমাজকে অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাবেন না --- গো- সম্পদের
সাথে মানব জাতির জীবনের প্রতিটি স্তর যুক্ত এবং মানব সভ্যতার উন্নয়ণ এই গোসম্পদের
উপর নির্ভরশীল। যে ঘি –দধি- দুগ্ধ ইত্যাদি মানব জাতির মেধাকে অর্থাৎ জ্যোতিকে
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে তা গো-সম্পদ নিঃস্বার্থভাবে দান করে চলেছে মায়ের ভুমিকা
পালন করে। তাই গো- হত্যা আর মাতৃ হত্যা দুই সমান। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।