[ বেদ যজ্ঞ করবে
জগতের সবার কল্যাণের জন্য কিন্তু এর জন্য কোন প্রতিদান চাইবে না বা আশা করবে না।]
বেদ যজ্ঞ করার জন্যই মানুষের এই কর্মভূমি ও জ্ঞানপীঠে আবির্ভাব। এই সত্যকে
জেনে যারা সদায় ঈশ্বরমূখী হয়ে থাকেন তাঁদের আর কোন চিন্তা থাকে না। তাঁরা সকলেই
ঈশ্বরের প্রতিনিধি হয়ে সবার মঙ্গলসাধনের কাজে লিপ্ত থাকেন। তাঁরা এই প্রতিনিধিত্ব
করতে এসে নিজের সুখ- দুঃখ – কামনা- বাসনা- চাহিদার দিকে ফিরেও তাকান না। তাঁদের
এখানে কাজ করতে এসে কোন পুরষ্কার বা তিরস্কার পাবার আশা বা ভয় থাকে না। এমনকি
তাঁরা নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করেন না। তাঁরা মহাজ্ঞানী-
মহাবিজ্ঞানী- মহাচিকিৎসক – সর্বশ্রোতা- সর্বদাতা- সর্বগ্রহীতা- সর্বদ্রষ্টা-
সুক্ষবিচারক এক মহানের কেবল প্রতিনিধিত্ব করে চলেন, যখন যেখানে যে অবস্থায় থাকেন
সেই অবস্থাতেই এক লক্ষ্যে নিজেকে ধারণ করে। তাই যারা বেদ যজ্ঞ করেন তাঁদের যজ্ঞ
কুণ্ডের ইন্ধন(ঘি) কখনো শেষ হয় না তাই তাঁদের জ্যোতিঃ বা আলো কখনো নিভে যাবার ভয়
থাকে না। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।