[ বেদ যজ্ঞ করে নিজের সনাতন রূপ উদ্ধার করে তেজোময় রত্ন স্বরূপ প্রকাশিত
হও।]
তেজোময় রত্নের গায়ে মাটি লাগা থাকলে সেই রত্নের
তেজ কেউ দেখতে পায় না। সেই মহামুল্যবান রত্নের কেউ তখন এক কানা কড়িও মুল্য দিবে না। আবার সেই রত্নের
শরীর থেকে মাটি ধৌত করলেই সে তেজোময় হয়ে আবার সবার
দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেই রূপ জীবাত্মার রূপ জন্ম জন্মান্তরের বিষয়- বস্তুর জ্ঞান-
অজ্ঞান- সংস্কার দিয়ে ঢাকা থাকে। তাই জীব বা মানুষ তার সনাতন তেজোময় রূপ নিজেও
দেখতে পায় না ও তার তেজোময় রূপ অন্য কারও দৃষ্টিতেও আসে না। মানুষ যখনি নিজের
জ্ঞান দ্বারা সমস্ত ময়লা পরিষ্কার করবে তখনি সে নিজের আত্মার সনাতন তেজোময় রূপ
ফিরে পাবে। ঈশ্বর সকলকে তাঁর সনাতন ধর্মের সুত্র অনুসারে তেজোময় করেই সৃষ্টি
করেছেন। কিন্তু জীব এই পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়ে মাটির টানে আবদ্ধ হয়ে নিজের সনাতন
রূপকে মৃত্তিকালিপ্ত করে ফেলেন। অন্যান্য জীবাত্মা মায়ায় আবদ্ধ হয়ে প্রকৃতিজাত
ধর্ম অনুসারে কর্ম করতে বাধ্য হয় উন্নত যোনি লাভ করে নিজের সনাতন মূর্তিকে উদ্ধার
করার জন্যে। মানব আত্মা তাদের থেকে উন্নত দেহ ধারণ করেছেন নিজের সনাতন রূপ পেয়ে
তেজোময় হয়ে এক ব্রহ্মে লীন হবার জন্যে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত নিজ সনাতন
ধর্মকে জেনে নিজের সনাতন রূপকে উদ্ধার করা। নিজের সনাতন রূপ উদ্ধার করলেই মানুষ
জানতে পারবে সে মানবাত্মা আর এই আত্মা পরমাত্মার সাথে যুক্ত হয়ে সর্বভূতে তেজোময়
রশ্মি হয়ে বিরাজ করছে। এই অবস্থা প্রাপ্ত হলেই মানুষের আর দুঃখ থাকে না। মানবের মানব জন্ম সফল হয় এক ব্রহ্মে লীন হয়ে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।