[ বেদ যজ্ঞ করবে
সনাতন ধর্মের উপর দাঁড়িয়ে তাহলেই জগতের সবার মঙ্গল হবে।]
বেদ অর্থাৎ জ্ঞান মানুষের সব থেকে বড় সম্পদ। এই জ্ঞান লাভ করতে হলে যজ্ঞ
অর্থাৎ কর্ম করতেই হবে। জ্ঞান লাভের জন্যে যে কর্ম সেটাই হচ্ছে বেদ যজ্ঞ। ঈশ্বর
জগৎ সৃষ্টি করে সবার জন্যে যে ধর্মের সৃষ্টি করলেন সেটাই হচ্ছে সনাতন ধর্ম। তাঁর
সৃষ্ট ধর্মকে অবজ্ঞা করার কারও শক্তি নাই। এই ধর্মকে মান্য করেই এই পৃথিবীর বুকে
চৌরাশি লক্ষ প্রজাতির জীব- জন্তু জলে- স্থলে- আকাশে- বাতাসে নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে
কর্ম করে চলেছে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করার জন্যে। এই সনাতন ধর্ম মান্য করেই
গাছ- পালা – ঔষধি নিজ নিজ ধর্ম পালন করে সবার সেবা করে চলেছে। এই ধর্ম বলেই আখ তার
মিষ্টটাকে, লংকা তার ঝালকে, নিম তার তিতাকে, সাপ তার বিষকে, মানুষ তার
মানবিকতাকে,শয়তান তার শয়তানী বুদ্ধিকে ধারণ করে রেখেছে। এই সনাতন ধর্মকে মান্য করে
আগুন- মাটি – জল- বাতাস- আকাশ নিজ নিজ গুণ ও শক্তি বলে কর্ম অর্থাৎ যজ্ঞ করে
চলেছে। এই সনাতন ধর্মের রক্ষক স্বয়ং ঈশ্বর—কেউ এই ধর্মের সৃষ্টি কর্তা বলে দাবী
করতে পারেন না—তাই এই ধর্মের বিনাশ মহাপ্রলয়কালেও হয় না। আর এই ঈশ্বর জ্ঞানীদিগের
জ্ঞেয় পরম ব্রহ্ম, ইনিই জগতের সবার পরম আশ্রয়স্থল, ইনি অব্যয়, অনাদি পুরুষ। এই
অনাদি পরম ব্রহ্মের রূপ গুণের কোথায় শুরু- কোথায় মধ্য আর কোথায় শেষ তা তিনি নিজেই
কেবল জানেন। এই পর ব্রহ্মের পিতা- মাতা নেই, জন্ম- মৃত্যু নেই। এই পরম পবিত্র
জ্ঞানময়, সর্বশক্তিমান সত্তাকে কাল স্পর্শ করতে পারেন না তাই তিনি মহাকাল। যখনি তিনি তাঁর সনাতন ধর্মের অবক্ষয় দেখেন তখনি তিনি
মহাকাল রূপ ধারণ পূর্বক যুগধর্মকে বিনাশ করে পুনঃ সনাতন ধর্মের প্রতিষ্ঠা করে
মহাসত্যকে প্রতিষ্ঠা করে সাধুদের রক্ষা করেন। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।