[ বেদ যজ্ঞ করেই জানতে পারবে জগতের যতরূপ সবই তোমার আত্মার রূপ আর তোমার
আত্মাও এক পরমাত্মার সাথে যুক্ত।]
আমরা বেদ যজ্ঞ করতে ভুলে গিয়েছিলাম তাই আমরা
আমাদের একাত্মবোধ হারিয়ে ফেলেছি। এই জগতের যতরূপ সবই যে তোমারই রূপ- এই একত্ব বোধ
জাগাবার জন্যই যা কিছু সাধনা। এর জন্যই যত শাস্ত্র- যত অনুশাসন সৃষ্টি হয়েছে ও
সৃষ্টি হয়ে চলেছে। জীবজগতে প্রত্যেকে যে আলাদা আলাদা করে ভাবছে—এই ভাব- ভাবনা যার
যার ব্যক্তিগত বোধ থেকে উৎপন্ন হচ্ছে—এই পার্থক্যবোধ হচ্ছে একাত্মবোধেরই একটা
প্রকাশ—এক পরমাত্মার সাথে মিলিত করার তাগিদে। আমাদের এই পার্থক্যবোধের জন্যই কাম-
ক্রোধ- লোভ- মোহ- অহংকার- পরশ্রীকাতরতা সদায় বুদ্ধির সাথে যুক্ত আমাদের বুদ্ধিকে
চঞ্চল করে রাখছে—কিছুতেই এক ব্রহ্ম বা ঈশ্বরের শক্তির সাথে যুক্ত হতে দিচ্ছে না।
এটাই হচ্ছে মায়া বিজ্ঞানের শক্তির আকর্ষণ। এই পার্থক্যবোধের জন্যই সংসারে এতসব
হিংসা- দ্বেষ – হত্যা- হানাহানি। এই জীবজগৎ একশক্তি- একপ্রাণ – এক আত্মা থেকে
সৃষ্টি হচ্ছে- তাই আমরা সবাই এক বোধেই আছি, এই তত্ত্বটা বুঝলেই আর মানুষ হিংসা-
দ্বেষ – হত্যা- হানাহানির আসরে গিয়ে গোল পাকিয়ে গণ্ডগোল করবে না। এই বোধে এলেই
মানুষ দেখতে পাবে জ্ঞাননেত্রে যত্র জীব তত্র শিব—জীব আর শিবের মধ্যে কোন পার্থক্য
নেই। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।