[ বেদ যজ্ঞ করে
তোমরা রাস লীলার রহস্য জেনে সবায় গোপ- গোপিনী হয়ে ঈশ্বরের আনন্দের লীলা সঙ্গী হও।]
জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার নিত্য সম্বন্ধ। যারা জ্ঞানী তাঁরা এই সম্পর্ক
একবাক্যে স্বীকার করেন। তাঁরা তাই সমস্ত প্রকার অহংকার ত্যাগ করে পরম দয়াল
পরমাত্মার আশ্রয়ে থেকে সদায় তাঁর সাথে আনন্দ লীলায় মত্ত থাকেন। আত্মা আর পরমাত্মার
গোপন রহস্য জেনে যারা সদায় কৃষ্ণ বা পরমাত্মার প্রেমে মশগুল থাকেন তাঁরাই এই
ব্রহ্মাণ্ডে গোপ- গোপিনী নামে পরিচিতি লাভ করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সাথে গোপ-
গোপিনীদের এই রাস লীলা নিত্য ও সনাতন। এই লীলার ছেদ ঘটে না মহাপ্রলয়কালেও। ভগবান
শ্রীকৃষ্ণ প্রত্যেক জীবের হৃদয়ে বাস করে রাসলীলার মাধ্যমে তার শুভ কর্মের ফল উপভোগ
করে আনন্দ করে চলেছেন। এই ভাবে তিনি অজন্মা হয়েও জন্মগ্রহণ করে চলেছেন ও তাঁর
নিত্য লীলা ধরে রেখেছেন ব্রহ্মলোকে। তিনি জীবাত্মার মাধ্যমে সত্যকে পান করে জীবকে
শুভ কর্মের ফল ভোগ করান এটাই হচ্ছে তাঁর আনন্দলীলা বা রাসলীলা। তাই যারা জ্ঞানী
তাঁরা এই রহস্য জেনে কেবল সত্যের উপর বেদ যজ্ঞ করে পরমাত্মাকে সত্য পান করিয়ে পরম
তৃপ্তি লাভ করেন। তাঁদের নিজ শক্তি- সামর্থ্যের প্রতি কোন অভিমান থাকে না। সদা-
সর্বদা, নিত্য নিজের অন্তরে অন্তর্যামীরূপে স্থিত পরমাত্মীয়, প্রিয়তম, পরম দয়াল
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলা সাথী হয়ে তাঁর আনন্দেই আনন্দিত হয়ে নিত্য- নিরন্তর তাঁর
চিন্তায় মগ্ন থাকেন। এই জ্ঞানী গোপ- গোপিনীদের রাসলীলাকে কে বন্ধ করবে ও উপহাস
করবে? ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।