[ বেদ যজ্ঞের দ্বারা জেনে নাও
তুমি ঈশ্বরের সত্তার সাথে যুক্ত আছো বলেই সবার মঙ্গলে তোমার শক্তিকে কাজে লাগাতে
পারছো।]
সর্বদায় ঈশ্বর বা সত্যের দিকে মুখ করে প্রার্থনা করবে ও নিজের কর্তব্য কর্ম
করবে তাহলেই আর কোনরূপ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বে না। তোমার জীবনের সবদিক ঘিরেই তিনি
রয়েছেন তাই কোন সংকীর্ণ দিকের দিকে চেয়ে দেখবে না। যারা এই পূর্ব – পশ্চিম- উত্তর-
দক্ষিণ দিক খুঁজতে যায় তাঁরাই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে আর দিক খুঁজে পায় না। এই
ব্রহ্মাণ্ডের ও মানব দেহে ঈশ্বর যে শক্তিসমূহ সৃষ্টি করে দিয়েছেন, তার সব কিছুরই সন্ধান
করে মানুষ সবার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে—এই সত্যকে অন্তরে দৃঢ় করে কর্ম
জগতে ঝাপিয়ে পড়লেই। সর্বদায় মনে রাখতে হবে—আমার ঈশ্বর আমাকে যে শক্তি- গুণ- জ্ঞান-
বুদ্ধি দিয়েছেন তা নিজের অহংকার প্রকাশের জন্যে নয়—তিনি এগুলো দান করেছেন তা
বৃদ্ধি করে জগতের সবার মঙ্গলের জন্যে ও সকলকে একসুত্রে বেঁধে তোলার জন্যে। আমরা
যদি তাঁর জ্ঞান- বুদ্ধি- শক্তি পেয়ে তাঁর মতো উদার ও মহান হতে না পারি তবে তো আমরা
তাঁকে কখনো নিজের হৃদয় মন্দিরে মর্যাদার সিংহাসনে বসাতে পারবো না। এই জন্যে
আমাদেরকে বার বার অনুশোচনায় ভুগতে হবে ও বার বার জন্ম মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার
জন্যে বিভিন্ন যোনিতে জন্ম নিয়ে এই পৃথিবীতেই থাকতে হবে। কিছুতেই তাঁর জ্ঞান-
শক্তি- বুদ্ধি ইত্যাদি পেয়েও তাঁর লীলা সঙ্গী হয়ে এক ব্রহ্ম বা ঈশ্বর ছাড়া দ্বিতীয়
কেউ নাই এই সত্য উপলব্ধি করতে পারবো না। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।