[ বেদ যজ্ঞ করে সবায়কে নোংরা ব্যাভিচারময় জীবন থেকে মুক্ত করার পথে চলো।]
আমি এক ও অদ্বিতীয় পবিত্র জ্ঞানময় সত্তা।
আমার আশ্রয়ে আসার সাথে সাথে যে কোন নোংরা ব্যাভিচারে পরিপূর্ণ সত্তা পবিত্র রূপ
লাভ করে। সাগরে যতই নোংরা জল ও আবর্জনা ফেলা হউক না কেন তা সাগরের জলে মিশে কোথায়
চলে যায়, তা আর কেউ দেখতে পায় না, তেমনি যতই পাপী তাপী, অজ্ঞানী, ব্যাভিচারময়
গ্রস্থ লোক আমার আশ্রয়ে আসুক না কেনো তার রূপ পালটে যায়—সে ধীরে ধীরে আমার প্রিয়
হয়ে জ্ঞানী সত্তায় পরিণত হয়। তাই তোমরা নোংরা, ব্যাভিচার, পাপকে ঘৃণা কর কিন্তু
মানুষকে ঘৃণা করতে যেও না। তাদের কাছে আমার আলোক বর্তিকা নিয়ে যাও—দেখো তারাও আমার
আশ্রয়ে এসে উজ্জ্বল তারকা হয়ে উঠবে। তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে প্রকৃত পথের সন্ধান না
পেয়ে। তারা প্রকৃতপক্ষে কেউ পাপী আত্মা নয়। তাদেরকে অসুর শয়তানের দল পাপ পথে ঠেলে
দিয়েছে। আমি সব জানি—আমি সব দেখি। তারা ছটপট করছে নোংরা ব্যাভিচারময় জীবন থেকে
মুক্ত হবার জন্যে। তারা তোমাদের নিকট থেকে বিশ্বমানব শিক্ষার জ্ঞান পেলেই
জ্ঞানতরীতে চেপে ব্রহ্মজ্ঞান সাগরে স্নান করে পবিত্র হয়ে উঠবে। তারা নিজেদের জীবন
পরার্থে মহৎ কাজে অতি সহজে উৎসর্গ করতে পারবে। তাদের কর্মটা নোংরা ও ব্যাভিচারময়
হলেও মনটা বড় সুন্দর ও সহজ সরল। আমি তাদের মনের কথা সব জানি তাই তোমরা বিশ্বমানব
শিক্ষার কর্মী হয়ে তাদের অবহেলা করবে না। তাদের মধ্যে যতটা তারাতারি দেবত্বগুণের
বিকাশ ঘটবে, অন্য কারো মধ্যে তা ঘটতে পারে না। যারা ভদ্রলোকের মুখোশ পড়ে নোংরা,
ব্যাভিচারময় জীবন যাপন করছে, তাদেরকেও আমি চিনি ও জানি। তারা কিছুতেই তোমাদের কাছে
নিজেদের মুখোশ খুলবে না। তারা সবাই আমার কারাগারে বন্দী হয়ে পড়েছে—তারা কেউ
নিজেদের অহংকার ত্যাগ করে আর ব্রহ্মসাগরে স্নান করে পবিত্র হতে পারবে না। তারা
আলকাতরার পোশাক পরিধান করে নিজেরাই প্রস্তুত হয়ে আছে আমার তৈরী জ্বলন্ত নরককুণ্ডে
ঝাপ দেওয়ার জন্যে। তাই ক্ষুদ্র চিন্তা ছেড়ে দিয়ে তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষায় দীক্ষা
নিয়ে বিশাল হয়ে বিশালত্বের সাথে এক হয়ে আছো এই চিন্তায় বিভোর হয়ে কেবল বিশ্বমানব
শিক্ষা জ্ঞানতরীতে চেপে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে ব্রহ্মজ্ঞান মহাঅস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে
নেমে পড়ো দেখবে বিশ্ব থেকে সমস্ত প্রকার নোংরামি, ব্যাভিচার, সংকীর্ণতা,
কুসংস্কার, পাপ তাপ স্বাভাবিক নিয়মে মুছে যাবে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।