[ বেদ যজ্ঞ মানুষের অতীত ও ভবিষ্যৎ ত্রুটি সমূহ মার্জনা করে তাকে মুক্ত
পুরুষ করে দেন।]
বেদ যজ্ঞের দ্বারা মানুষ নিজের সনাতন ধর্মের রূপ
ফিরে পান। এই পথেই মানুষের জন্যে ঈশ্বর তাঁদের
নিশ্চিত বিজয় অবধারিত করে দিয়েছেন। যারাই এই পথ ধরে বেদ যজ্ঞ করে যান তারাই
সর্বকর্মে সফল হউন। এই জ্ঞান যজ্ঞ মানুষ যত করবেন ততই তাঁর অন্তর নির্মল হতে
থাকবে। চিত্তের প্রশান্তি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায় জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘরের দিকে।
কু-চিন্তায় লিপ্ত হয়ে থাকা মানুষের সব থেকে বড় রোগ। এই রোগ থেকেই মানুষের আসে
দুর্বলতা। এই দুর্বলতায় মানুষের জীবনের পাপ রাশিকে বহন করে নরকে নিয়ে যায়। তাই
মানুষ যেমন অতীতের পাপ বা ত্রুটি সমূহ থেকে মুক্ত হতে পারে না তেমনি ভবিষ্যৎ জীবন
গড়ে তোলার জন্যে কিছুতেই দৃঢ় পদক্ষেপে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সুচিন্তার চিত্তে
নিজেকে সদায় ধরে রাখতে পারে না। ঈশ্বর যতই সহজ- সরল পথ দেখান না কেনো তারা সেই পথে
গিয়ে তাঁর বলিষ্ঠ সাহায্য কিছুতেই গ্রহণ করে নিজেকে মুক্ত করার জন্যে এগিয়ে যান
না। ঈশ্বর সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময় তাই তিনি সবার অন্তরের কথা জানেন। তিনিই মানুষকে
সৃষ্টি করে তার অন্তরে কু-চিন্তা ও সুচিন্তার ধারা প্রবাহিত করে মানুষের পরীক্ষা
নিয়ে চলেছেন। তাই বেদ যজ্ঞ করলেই মানুষের অন্তর থেকে কু-চিন্তার স্রোত স্তব্ধ হয়ে
যায় এবং সু-চিন্তার স্রোত প্রবাহিত হতে শুরু করে। একবার কারো অন্তরে সু- চিন্তার
স্রোত প্রবাহিত হতে শুরু করলে এই স্রোত সাগরের স্রোতের ন্যায় গভীর হতে থাকে ও
অনন্তকাল ধরে চলতেই থাকে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।