Home » » বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও এই ব্রহ্মাণ্ডে যার নাম আছে তাঁরই রূপ- গুণ- বৈভব আছে অতএব তাঁর মূর্তিও আছে।

বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও এই ব্রহ্মাণ্ডে যার নাম আছে তাঁরই রূপ- গুণ- বৈভব আছে অতএব তাঁর মূর্তিও আছে।


[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও এই ব্রহ্মাণ্ডে যার নাম আছে তাঁরই রূপ- গুণ- বৈভব আছে অতএব তাঁর মূর্তিও আছে।]
বিশ্বের এমন কোন লোক আছেন যিনি তাঁর উপাস্য দেবতাকে কোন না কোন নামে ডাকেন না? যদি ঈশ্বরের নাম থাকে তবে তাঁর রূপ থাকবেই আর যদি নাম – ধাম কিছুই না থাকে তবে তিনি অবশ্যই নির্গুণ নিরাকার। আমরা যদি ঈশ্বরকে পরম দয়ালু- সর্বশক্তিমান ইত্যাদি বলে পুজা করি তখনি তাঁর রূপ আমাদের অন্তরে ভেসে উঠবেই- এই রূপটাই তখন আমাদের সামনে মূর্তি হয়ে দেখা দেন। ঈশ্বরের যদি শত নাম থাকে তবে শত মূর্তি থাকবেই এটাই সত্যঅনেকেই বলেন বেদে ঈশ্বরের কোন মূর্তির উল্লেখ নেই। বেদে ঈশ্বরকে পরব্রহ্ম রূপে উল্লেখ করা হয়েছে যার রূপ হল ওঁ। এই ওঁ হলো ব্রহ্মবৃত্ত। এর মধ্যেই যত নাম- ধাম অবস্থান করছেন নিজ নিজ রূপ গুণ বৈভব নিয়ে। এই ব্রহ্মবৃত্ত থেকে বের হয়ে কারও কোথায় যাবার পথ নেই। এখানেই সবায়কে এক সনাতন ধর্মের মধ্যে অবস্থান করে নিজ নিজ কর্ম করে যেতে হয়। এই ব্রহ্মবৃত্তের উপাসনা হল আত্মার উপাসনা। মানুষ যখন দেহাতীত- ত্রিগুণাতীত- ত্রিকালাতীত হয়ে আত্মায় অবস্থান করেন তখন তিনি সেই ব্রহ্মবৃত্তে অবস্থান করেন, তখন ওঁ এর আর কোন মূর্তি দেখতে পান না। যে মানুষ স্বর্গ- নরক অথবা সাত লোকের বেশী নিজের কল্পনায় আনতেই পারেন না তাঁরা কিভাবে সর্ব সংস্কার মুক্ত হয়ে নিজের নাম- ধাম- গোত্র ইত্যাদি মুছে ফেলে সেই বিশালত্বের সাথে মিশে গিয়ে ব্রহ্মবৃত্তে অবস্থান করে বেদের ঋষিদের ন্যায় নিজে ব্রহ্ম ওঁ হয়ে ব্রহ্মের উপাসনা করবেন? ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ। 

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide