[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে সুরশক্তির জাগরণ ঘটাও, অসুরশক্তি বিলীন হয়ে যাবে।
প্রত্যেকের মধ্যে সুরশক্তি ও অসুরশক্তি
বিদ্যমান। বাহুবলের মাধ্যমে অথবা অর্থবলের মাধ্যমে অথবা যেকোন অস্ত্রের সাহায্যে
বাইরের আসুরিক বৃত্তি যথা স্বার্থপরতার বুদ্ধি, অহংমন্যতা, নামযশের মোহ, অর্থলোভ,
কামনা- বাসনা ইত্যাদিকে পরাস্ত করা যায় না। এর জন্যই চায় বেদ যজ্ঞ যা জনকল্যাণমুখী
এক মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্মানুষ্টান। সেই সাথে নাম, যপ ও ধ্যান মানুষের এই আসুরিক
বৃত্তিগুলিকে দমন করতে সাহায্য করে। আমাদের মস্তিষ্কে যে চৈতন্যসত্তা থাকে বিশেষ
মাত্রায় ধারণ করে বুদ্ধিকে স্থির রাখতে হয়—তা না –হলে এই চৈতন্যসত্তা পারদের পারার
ন্যায় উঠা নামা করে। সুরশক্তি নিম্নমুখী হলেই অসুরশক্তির কবলে মানুষের বুদ্ধি
আবদ্ধ হয়ে পড়ে। আমাদের দেহে মেরুদণ্ডে যে কুলকুণ্ডলিনী শক্তিস্বরূপ নারী আছে তার
মাধ্যমেই এই মাত্রা উঠা- নামা করে। তাই জেনে রাখো হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায়
না। কামান- বন্দুক দেগে অন্তরের সুন্দরের রূপকে ফোটানো যায় না। যেমন গায়ের জোরে
একটা গোলাপের কুঁড়িকে ফোটানো যায় না। সুন্দরের বিকাশ ঘটাতে গেলে অনুগ পরিবেশ
সৃষ্টি করতে হয়। প্রকৃতির নিয়মে তখন তা আপনিই বিকশিত হয়। একেই বলে বেদের বা
প্রকৃতির বিপ্লব—চেতনার বিপ্লব। বেদ যজ্ঞের মাধ্যমেই এই চেতনার বিপ্লব এলেই এই
বিশ্ব থেকে আসুরিক শক্তি বিলীন হয়ে যাবে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।