[ বেদ যজ্ঞ করে ব্রহ্মরূপা ও রাত্রিরূপা শিখণ্ডিনী মা দুর্গার সান্নিধ্য
লাভ কর।]
যে ব্রহ্মরূপা মহামায়া পুনঃপুনঃ বেদ যজ্ঞ
বেদী থেকে অসুর বধের জন্যে আবির্ভূতা হন তাঁকেই তোমরা নিজ হৃদয় মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত
কর। তিনি প্রাণিগণের সুখদাত্রী ও কন্যারূপিণী। তিনি ময়ূরপুচ্ছভূষণা অর্থাৎ শিখণ্ডিনী
হয়ে বিষ্ণু –বৈষ্ণবী এক বিশ্বব্যাপিনী শক্তি। তাঁর শক্তির প্রভাবেই জীবের বাল্য-
কৈশোর- যৌবন ও বার্ধক্য পরিলক্ষিত হয় যা তিনি রাত্রিরূপা দেবী মহামায়ার শক্তির
বিজ্ঞান দ্বারা অতি সুক্ষভাবে চালনা করেন। তাঁর প্রভাবেই সূর্য জীবগণের চক্ষুদ্বয়কে
শ্রীযুক্ত করে রক্ষা করেন, বায়ুদেবতা পঞ্চপ্রাণকে রক্ষা করেন, সোমদেব
ঘ্রানেন্দ্রিয়কে রক্ষা করেন, বরুণদেব সকল তরল পদার্থকে রক্ষা করেন, চন্দ্রদেব
দেহের মধ্যে অবস্থিত মনকে রক্ষা করেন এবং পৃথিবীর অধিষ্ঠাত্রী দেবতা সবার শরীর
রক্ষা করেন। এই তত্ত্ব জেনে যারা মা দুর্গার নাম বেদ যজ্ঞে আহুতি দেন তাদেরকে
তিনিই বিপদমুক্ত করে সদায় নিজ আশ্রয়ে ধারণ করে রাখেন। জয় মা দুর্গা।