[ বেদ যজ্ঞের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম- মৃত্যু বলে কিছু নাই এই ভগবান
শ্রীকৃষ্ণের নামে তোমরা বেদ যজ্ঞ কর।]
তোমদেরকে এখানে যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা বলা হচ্ছে, তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর,
আদ্যাশক্তি মহামায়া, মহালক্ষ্মী ও মহাসরস্বতী সৃষ্টির পূর্ব থেকেই সর্বত্র
অধিষ্ঠান করছেন। তাঁকে ঘিরেই বিশ্ব- ব্রহ্মাণ্ডের শত শত ব্রহ্মা- বিষ্ণু –মহেশ্বর
সৃষ্টি হচ্ছে ধ্বংস হচ্ছে। সেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীর বুকে কত হাজার বার মানব
দেহে অবতরণ করছেন তাঁর লীলা দেখিয়ে মানব জাতিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্যে তার সাহিত্য
বা ইতিহাস খুঁজে বের করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। যখনি মানব দেহের শ্রীকৃষ্ণ রস বা
অমৃত রস আসুররা পান করতে শুরু করেন তখনি এই পৃথিবীর বুকে অধর্ম ও বিপর্যয় নেমে
আসে। এই অধর্ম ও বিপর্যয় থেকে সাধুদের মুক্ত করার জন্যেই তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের
অবতরন ঘটে মানব দেহে তাঁর পূর্ণময় ব্রহ্মশক্তি নিয়ে মিথ্যাকে বাতিল করে সত্যকে
প্রতিষ্ঠা করার জন্যে ও আসুরিক শক্তিকে ধ্বংস করে দৈবী শক্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে। এই
শ্রীকৃষ্ণ রস এতই মুখরোচক একবার, কেউ এর স্বাদ পেলে জন্ম- জন্মান্তরেও এই স্বাদের
কথা কেউ ভুলতে পারবে না। ব্রহ্মা- বিষ্ণু –মহেশ্বর থেকে শুরু করে সমস্ত দেব- দেবী
এই রস পান করে জীবন ধন্য করে অমর হয়ে আছেন। এই অমৃতের কথা কেউ কাউকে বলতে চান না।
নিজে এই অমৃত পান করে এত বিভোর হয়ে থাকেন যে তাঁর হুঁশ থাকে না। তাই তিনি নিজে
নিজেকে ভগবান কৃষ্ণ ভেবে শ্রীকৃষ্ণ লীলা শুরু করে দেন। আমাদের বিরাট সৌভাগ্য যে এই
গোপন তত্ত্ব আমরা মহামুনি বেদ ব্যাস কতৃক পেয়ে ধন্য হয়েছি ও তিনি বিশ্বে প্রথম
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রহস্য উদ্ঘাটন করে বিজ্ঞান- সাহিত্য- দর্শন- রাজনীতি- সমাজনীতি –
ধর্মনীতি – অর্থনীতিকে একমঞ্চে এনে মানব জাতির অন্তরে অমর হয়ে আছেন। সারা বিশ্বের
শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক- দার্শনিক – সাহিত্যিক- রাজনীতিবিদ- ধার্মিক ও মানবিক মুখ
বেদব্যাসের ন্যায় আর দ্বিতীয় নাই। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।