[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে আগে জেনে নাও মুক্তি কি তারপর মুক্ত চিত্তে
ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র বিচরণ কর বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে।]
মুক্তির অর্থ হল সমস্ত প্রকার সংস্কার থেকে
বিমুক্তি। আমরা সবায় কোন না কোন সংস্কারে আবদ্ধ হয়ে নিজের মুক্ত বা স্বাধীন রূপ
দেখতে পাচ্ছি না। তাই আগে নিজেকে বিশ্বরূপের ছায়া রূপে ভেবে নিয়ে বিশ্বমানব
শিক্ষার মনে –প্রাণে কর্মী হতে হবে। তাহলেই দেখতে পাবে কত ব্রহ্মা- বিষ্ণু –
মহেশ্বর সহ দেব- দেবী- মুনি ঋষি – মহামানব- অবতার সহ কত যশোদা নন্দন এক পরব্রহ্ম
বিশ্বরূপের আশ্রয়ে থেকে নিজ নিজ কর্তব্য কর্মে লিপ্ত আছেন। এঁরা সকলেই সমস্ত
সংস্কার থেকে বিমুক্ত সত্তা হয়ে এই ব্রহ্মরূপ বা বিশ্বরূপেই অবস্থান করছেন। এই পরম
সনাতন সত্যকে জেনে যারা এই বিশ্বের বুকে কাজ করেন তাঁরাই ঈশ্বরের ঘরের মুক্ত
বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী – তাঁদের কোন বন্ধনেই কেউ বেঁধে রাখতে পারেন না। তাঁদের
নিরপেক্ষ নিঃস্বার্থ দৃষ্টিভঙ্গি সাম্যবাদের নীতিকেই সর্বত্র প্রতিষ্ঠা করে চলে---
তাই বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মীরা যেখানেই যাক না কেনো তাঁরা সর্বত্র স্বাধীন মুক্ত
সত্তা হয়ে সর্বত্র বিচরণের ছাড়পত্র অতিসহজেই লাভ করেন। তাঁদের দ্বারা কোন
অমঙ্গলজনক কাজ ঈশ্বর করান না ও তাঁদের স্বাধীনতা তিনি কোথাও মায়ার বিজ্ঞান দ্বারা
হরণ করে রাখেন না। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।