[বেদ যজ্ঞ করে তোমরা তোমাদের ভিতরের সমস্ত শুভ শক্তিকে জাগিয়ে তুলো
তা-না-হলে তোমরা যে তিমিরে ছিলে সেই তিমিরেই থেকে যাবে।]
স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, তৈলঙ্গস্বামী,
বামাক্ষাপা, বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, বাবাজী মহারাজ, অভেদানন্দ থেকে শুরু করে এই
ভারতবর্ষের কোন মহাপুরুষ নিজের মুক্তির জন্যে সাধনা করেন নি। তাঁরা সকলেই নিজের
ভিতরের শক্তি ও বেদজ্ঞানকে জাগিয়ে তুলে দেখেছিলেন সর্বভূত তাঁদের অন্তরের শক্তি ও
বেদজ্ঞানের সাথে যুক্ত, আর সর্বভূতের সাথেও তাঁরা যুক্ত। তাই তাঁরা দেখলেন সকলের
মুক্তি না হলে কিভাবে তাঁরা মুক্ত হবেন? তাই তাঁরাই মানব জাতিকে উপদেশ দিয়ে গেছেন—যে
কোন পদ্ধতিতে আগে নিজের ভিতরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলে নিজেকে জানো। তোমার ভিতরেই সমস্ত
শক্তি ও জ্ঞান রয়েছে। তোমার বাধার জন্যেই তারা প্রকাশিত হয়ে বিকশিত হতে পারছে না।
তাই সমস্ত বাধা দূর করে আগে তোমার ভিতরের শক্তি ও জ্ঞানকে প্রকাশিত করে জীবনকে
দেখতে শিখো—বাকী সব কাজ কালের গতিতে আপনা থেকেই হতে থাকবে। স্বামী বিবেকানন্দও
তাঁদের পথ ধরেই বলে গেছেন—“ তোমাকে ক্রমশঃ ভিতর হইতে বাহিরের দিকে বিকশিত হইতে
হইবে, ইহা কেহই তোমাকে শিখাইতে পারে না। ----- তোমার নিজের অন্তরাত্মা ভিন্ন
দ্বিতীয় কোন শিক্ষক নাই। যাহার হৃদয়-বেদ খুলিয়া গিয়াছে, তাহার কোন গ্রন্থের
প্রয়োজন হয় না। গ্রন্থের একমাত্র কাজ হইল অন্তরে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করা। গ্রন্থগুলো
তো অন্যের অভিজ্ঞতা মাত্র”। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।