[ বেদ যজ্ঞ করে ধর্ম কি তা নিজে জেনে অপরকে জানাও।]
ধর্ম কথাটির অর্থ ধারণ করে রাখা। আমরা মানব জীবনে
কাকে ধারণ করে রাখতে পারি? গভীর ভাবে চিন্তা করলেই আমরা দেখতে পাবো সত্য ছাড়া
কাউকে আমরা ধারণ করে রাখতে পারি না এই জীবনে। তাই ধর্ম হচ্ছে মানুষকে জানার ও তার
প্রকাশ- বিকাশ ঘটানোর একটি কৌশল মাত্র, এই কথাটিও বেশীরভাগ মানুষের বোধে নেই। এই
বোধটা আগে মানুষের মধ্যে জাগাতে হবে। যেমন বিষয় –বস্তুর জ্ঞান লাভ করার জন্যে
শিক্ষার বিভিন্ন কৌশল রয়েছে—পদ্ধতি রয়েছে, সেইরূপ আত্মা, পরমাত্মা, ঈশ্বর, গড,
আল্লা সহ তাঁর বিভিন্ন শক্তি- কার্য- কলাপকে জানার জন্যে বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে,
সেগুলির নাম ধর্ম। এই ধর্মগুলি বিভিন্ন নামে গড়ে উঠতে পারে কিন্তু সবার লক্ষ্য এক।
যেমন বিষয় –বস্তু জগতের জ্ঞান লাভ করার জন্যে আমাদেরকে বিভিন্ন বিভাগে রুচি ও
যোগ্যতা অনুসারে ভর্তি হয়ে শিক্ষা লাভ করতে হয়- তেমনি আত্মিক জ্ঞান লাভ করার
জন্যেও ধর্মের বিভিন্ন শাখায় ভর্তি হয়েই জ্ঞান লাভ করতে হয়। ঈশ্বরের গুণ ও শক্তির
শেষ নাই। আমরা তাঁর কোন গুণ বা শক্তির অধিকারী হয়ে তাঁর প্রিয় হয়ে উঠতে চাই—তা
আমাদেরকেই ঠিক করে নিয়ে সেই শিক্ষার আসরে নামতে হবে। প্রত্যেক মানুষ-ই ঈশ্বর
প্রদত্ত কোন না কোন গুণ ও শক্তি নিয়েই এখানে ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু দেখা যায় এই ঈশ্বরীয় গুণ ও শক্তি পরিবেশ-
সমাজ ইত্যাদির দোষে আবর্জনার স্তূপে চাপা পড়ে যায়--- তা আর প্রকাশিত ও বিকশিত হতে
পারে না। ধর্মের কাজ হলো মানুষের এই জন্মসিদ্ধ শক্তি ও গুণকে জাগ্রত অবস্থায় ধরে
রাখা—যাতে সেই শক্তি ও গুণের প্রকাশ ও বিকাশে সে নিজেকে জানতে পারে ঈশ্বরের
ক্ষুদ্ররূপ রূপে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।



