[বেদ যজ্ঞ করে নির্বাণ কি তা জেনে সদায় সেই অবস্থায় অবস্থান থেকেই কর্ম করে
যাও।]
নির্বাণ অবস্থা হচ্ছে বাহ্যজগতের জ্ঞান
হারিয়ে কেবল যে কর্মে লিপ্ত সেই কর্মেই ডুবে থাকা। এই অবস্থায় মানুষের বুদ্ধি
একমুখী হয়ে স্থির হয়ে যায়। যে বিষয়ে যখন লিপ্ত হয় সেই বিষয়ের মূলতত্ত্ব উদ্ধার
তারা অতি সহজেই করতে পারে। এটা মানুষের এমন এক মুক্ত অবস্থা যে তাদেরকে বাইরের
জগতের কোন আবর্জনাময় বা আবদ্ধযুক্ত অবস্থা স্পর্শ করতে পারে না। সবকিছু থেকে মুক্ত
হয়ে মুক্ত পুরুষ হয়ে কর্ম করে যায় ব্রহ্মজ্ঞানের এক বিন্দুতে অবস্থান থেকে মুলের
সাথে যুক্ত হয়ে। তাদের অধীনে কর্ম চলে কর্মের অধীনে তারা নয়—তাই তাদেরকে সবায়
চিনতে পারে না—কেবল এক ঈশ্বর ও ঈশ্বরের অধীনে পঞ্চভুত তাদেরকে চিনে তাকে সাহায্য –সহযোগিতা
করার জন্যে তৎপর হয়ে থাকেন। কিন্তু সেদিক থেকে তাদের মন-প্রাণ- চিত্ত-বুদ্ধি মুক্ত
থাকে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।