[বেদ যজ্ঞ করে মা দুর্গাকে সন্তুষ্ট করলে তুমিও সন্তুষ্ট থাকবে।]
হে বেদ যজ্ঞকারী সন্তানগণ, সেই ভগবতী দেবী
নিত্যা জন্মাদিশূন্যা হয়েও পুনঃপুনঃ এরূপেই আবির্ভূতা হয়ে জগতের সবায়কে পরিপালন
করেন। এই দেবীই এই বিশ্ব সৃষ্টি করেন ও তাঁর দ্বারাই এই জগৎ মায়া মুগ্ধ হয়ে থাকে।
তাঁকে নিষ্কামভাবে আরাধনা করলে তিনি অযাচিতভাবে তত্ত্বজ্ঞান দান করেন এবং তাঁকে
সকাম উপাসনা দ্বারা পরিতুষ্টা করলে তিনি ঐশ্বর্য প্রদান করেন। যে যেভাবে তাঁকে
গ্রহণ করেন তিনিও তাঁকে সেই ভাবেই গ্রহণ করেন। হে নরেশ্বর, প্রলয়কালে সেই দেবী
মহাকালী মহামারীরূপে সমগ্র বিশ্ব পরিব্যাপ্ত করেন। সেই জন্মরহিতা সনাতনী দেবীই
সবার জননী হয়ে সৃষ্টিকালে সৃষ্টিশক্তিরূপে প্রকাশিতা হন- একেই আমরা
ব্রহ্মাশক্তিরূপে জানি। তিনিই স্থিতিসময়ে স্থিতিশক্তিরূপে তথা বিষ্ণুরূপে সবায়কে
পালন করেন। তিনিই প্রলয়কালে সংহার শক্তিরূপে তথা শিবরূপ ধারণ করে সংহার করে সব
গুটিয়ে নেন। তিনিই সুসময়ে লক্ষ্মীরূপে সুখ- সমৃদ্ধি দান করেন এবং দুঃসময়ে
অলক্ষ্মীরূপে দুঃখ দারিদ্র্যাদি দান করেন। তিনিই ভক্তি সহকারে বেদ যজ্ঞ করলে
ধনপুত্রাদি দান করে ধর্মে মতি ও শুভ গতি দান করেন। জয় মা দুর্গা ওঁ মা।