Home » » বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও জন্ম-ই সন্ন্যাস, কর্ম-ই ধর্ম আর মৃত্যুই ত্যাগ।

বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও জন্ম-ই সন্ন্যাস, কর্ম-ই ধর্ম আর মৃত্যুই ত্যাগ।

[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও জন্ম-ই সন্ন্যাস, কর্ম-ই ধর্ম আর মৃত্যু-ই ত্যাগ।]
 তোমরা এই পৃথিবীর বুকে মুক্ত সন্ন্যাসী হয়ে জন্ম গ্রহণ করেছো। কেন তাহলে আবার এই সন্ন্যাস জীবনকে পরিহার করে নকল জীবনের বোঝা বইবার জন্যে সমাজের দেওয়া ধর্ম – নাম-ধাম ইত্যাদি গ্রহণ করে আবদ্ধ হয়ে পড়ছো। তোমাদেরকে এই সমাজের দেওয়া নকল উপাধি- ধর্ম- সংস্কার- কুসংস্কার কিছুই দিতে পারবে না- কেবল তোমাদের মুক্ত জীবনটাকে আবদ্ধ করে রেখে তোমাদের জীবনের মহাসত্যটাকে জানতে দিবে না। তোমরা গভীরভাবে চিন্তা করে দেখবে কিভাবে তোমরা খাঁচাতে আবদ্ধ হয়ে আছো? কেউ সোনার খাঁচায় – কেউ রূপোর খাঁচায় –কেউ বা লোহার খাঁচায় বন্দী তোমরা- তাই কেউ মুক্ত হয়ে জীবনের জয় গান করতে পারছো না। তোমরা সবায় সন্ন্যাসী হয়ে উলঙ্গ হয়ে এই কর্মভূমিতে বিশ্বমানবশিক্ষার নাঙ্গা সন্ন্যাসী বা কর্মী হয়ে ভূমিষ্ঠ হচ্ছো। তাই তোমাদের কর্ম ছাড়া আলাদা কোন ধর্ম থাকতে পারে না—তা গ্রহণ করলেই তোমরা সেই খাঁচায় বন্দী হয়ে পড়বে। তোমাদের অন্তরে যে আল্লা- গড –ভগবান- পরব্রহ্ম রয়েছেন তিনিই তোমাদের দীক্ষা গুরু—তিনিই তোমাদের একটার পর একটা নব জীবন দান করে চলেছেন—তোমাদেরকে জন্ম- মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত করে নিজের জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসাবার জন্যে। যারা জন্মসিদ্ধ সন্ন্যাস পুরুষ হয়ে জন্ম গ্রহণ করছে তাদের এই জীবনের লক্ষ্য মৃত্যুর হাত এড়িয়ে অমৃতকে জেনে নিজেকে অমৃতের সন্তান রূপে এই কর্মভূমি ও জ্ঞানপীঠে প্রতিষ্ঠিত করা। এই পৃথিবী তাদের কাছে স্থায়ী বাসভূমি নয়—এটা কেবল তাদের কর্মভূমি ও জ্ঞানপীঠ মাত্র—তাই এখান থেকে উলঙ্গ অবস্থায় কোন মতেই ফিরে যাওয়া ঠিক হবে না—একমাত্র এই মানবাত্মার ভূষণ হচ্ছে জ্ঞান—তাই জ্ঞানের পোশাক পড়েই তাকে ফিরে যেতে হবে সবকিছু ত্যাগ করে—এটাই হচ্ছে মানব আত্মার মহাপ্রস্থান। ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide