[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরাও মহামুনি বেদব্যাসের ন্যায় কর্মযোগী হয়ে নিজেকে ভগবান
শ্রীকৃষ্ণের সাথী করে নাও।]
যারা সদায় ভগবানের সাথী হয়ে থাকে তাদেরকে আর
বাইরের জগতের কোন চিন্তা করতে হয় না। মহামুনি ব্যাসদেব নিজেকে ও পঞ্চপাণ্ডবকে সদায়
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সাথী করে রেখে তাঁর সাথে নিশ্চিন্তে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড পরিভ্রমণ
করতেন ও জীবের কল্যাণের জন্য মহাসত্য প্রকাশ করতেন। তিনি ছিলেন যোগী- মহাজ্ঞানী-
সংসারী- কবি ও শ্রীকৃষ্ণের চিরসাথী এক অনন্য জাগ্রত মানবসত্তা। তিনিই মানব জাতিকে
মহাসত্যের পথ দেখিয়ে বিশ্বের বুকে শান্তি- ঐক্য- সাম্য- সত্যকে অতি সহজ সরল ভাবে
প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে নিদর্শন রেখে গেছেন। তিনিই দেখিয়ে গেছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
সর্বভূতে বিরাজমান ও মানবসত্তার হৃদয় গুহায় তিনি পূর্ণব্রহ্মময় শক্তি নিয়ে সদায়
অবস্থান করছেন। যিনি এই তত্ত্বের সত্যতাকে পূর্ণ বিশ্বাস করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চিরসাথী
হয়ে যান তিনিই পঞ্চপাণ্ডবের ন্যায় ধনী –জ্ঞানী- মানী- শক্তিধর জাগ্রত মানবসত্তা
রূপে নিজেকে জানতে পারেন। বেদ যজ্ঞ-এর দ্বারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে আপন করে নিয়ে তাঁর
চিরসাথী বা লীলাসঙ্গী হয়ে থাকার এই সহজ পথ তিনিই মানব জাতিকে দেখিয়ে গেছেন। ওঁ
শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।