[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে আজকে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে ঘরে ঘরে পৌঁছে দাও আল্লাহর পবিত্র বাণী আর সবায়কে পবিত্র ঈদের
শুভেচ্ছা জানিয়ে এক হয়ে গড়ে তুলো শান্তির পৃথিবী।]
বেদ যজ্ঞ করে তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে অর্থাৎ জ্ঞান বা জ্যোতিকে দৃঢ় ভাবে ধর,
পরস্পর বিভক্ত হইও না। তোমাদের এমন একদল হউক যারা নির্দেশ দিবে সৎকর্মের, ডাকিবে
কল্যাণের দিকে, বারণ করিবে অসৎ কাজ হইতে, আর এরাই সফলকাম।
এই পার্থিব জীবন অর্থহীন ক্রীড়া কৌতুকময়
ছাড়া আর কিছুই নহে, অবশ্যই পরকালের জীবন-ই প্রকৃত জীবন। যদি তারা জানিত।
আল্লাহ( অর্থাৎ তোমার অন্তরের পবিত্র সত্তা
ও জ্যোতি) ছাড়া কারো ইবাদত কর না। মাতা-পিতা, আত্মীয়স্বজন, অতিথি, এতীম ও
দরিদ্রদের সাথে সদ্ব্যবহার করিবে এবং সদালাপ করিবে মানুষের মানুষের সাথে। হে
ঈমানদারগণ তোমরা ধৈর্য এবং নামাজের দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা কর; আল্লাহ আছেন
সহিষ্ণুদের সাথেই।
তোমরা সীমা লংঘন করো না। কেননা আল্লাহ
সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না। সদায় প্রার্থনা করবে আল্লাহর কাছে—হে আল্লা আমার
নিকট থেকে শয়তানরা বিতারিত হউক ও আমার অন্তরে পবিত্র আত্মা ভর করুক।
তিনি যাকে চান, জ্ঞান ও সুবুদ্ধি দান করেন। আর
যে ব্যক্তি এ জ্ঞান লাভ করল, প্রকৃত পক্ষে সে বিরাট সম্পদ লাভ করল। এসব কথা হতে
তারাই শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করতে পারে যারা বুদ্ধিমান।
নিশ্চয় জানিও এখানে কারো একচেটিয়া বন্দোবস্ত
নেই। মুসলিম হোক কি ইহুদী, সাবী হোক কি ইসায়ী যেই আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান
আনবে এবং নেক কাজ করবে, এ নিঃসন্দেহ যে, তার জন্যে না কোন ভয়ের কারণ আছে, না দুঃখ
ও চিন্তার।
যমীনের উপর বিচরণশীল কোন জন্তু এবং বাতাসে ডানার সাহায্যে উড়ন্ত কোন পাখীই
দেখ, এরা তোমাদের মতই বিচিত্র জাতি- প্রজাতি। আমরা এদের নিয়তি নির্ধারণ করায় কোন
ত্রুটি রাখিনি। শেষ পর্যন্ত এদের সকলকেই তাদের রবের( প্রভুর) দিকে একত্রিত করে
উপস্থিত করা হবে।
আমি যে রসূলই পাঠাই, তাকে এজন্যেই তো পাঠাই
যে, তারা নেক চরিত্রের লোকদের জন্য সুসংবাদদাতা হবে, আর খারাপ চরিত্রের লোকদের
জন্যে হবে ভয় প্রদর্শনকারী। যারা তাদের কথা মেনে নেবে তাদের জন্য কোন ভয় ও দুঃখের
কারণ হবে না।
নিশ্চিতই আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম জন্তু
হচ্ছে সেই সব বধির –বোবা লোক, যারা জ্ঞান বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না।
যেসব লোক শুধু এই দুনিয়ার জীবন এবং তার
চাক-চিক্যের অনুসন্ধানী হয়, তাদের কাজ- কর্মের যাবতীয় ফল আমি এখানেই তাদেরকে দান
করি, আর তাতে তাদের প্রতি কোনরূপ কমতি করা হয় না।
কিন্তু পরকালে তাদের জন্য আগুন ছাড়া আর কিছুই
নেই। (তখন তারা জানতে পারবে) তারা দুনিয়ায় যাকিছুই বানিয়েছে, তা সবই বিলীন হয়ে
গেছে এবং তাদের যাবতীয় কৃতকর্ম সম্পূর্ণরূপে নিস্ফল হয়েছে।