[বেদ যজ্ঞ করে তোমরা জেনে নাও বেদ হচ্ছে তোমাদের জীবন্ত গ্রন্থ।]
বর্তমানে অনেকের বিশ্বাস ও ধারণা ‘বেদ’
হিন্দুদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ এবং বেদের সৃষ্টি কর্তা হিন্দুদের পূর্বপুরুষ। এই
ধারণা এক ভ্রান্ত ধারণা। ‘বেদ’ যেমন কোন ধর্ম গ্রন্থ নয় তেমন এ কোন সম্প্রদায়ও নয়।
‘বেদ’ সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানব জাতির জন্মগত সম্পদ। যে সম্পদ সৃষ্টির প্রারম্ভকাল
থেকে মানব জাতি সুরক্ষিত করে আসছে নিজ নিজ দেহমন্দিরে। এই দেহমন্দিরের জীবন্ত
সম্পদকে কিভাবে কোন সম্প্রদায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি বলা যেতে পারে? এ সম্পদ এমনি এক
সম্পদ ইচ্ছা করলেও একে কেউ দেহ থেকে বিচ্ছেদ করতে পারবে না—আবার একে কেউ চুরি করেও
নিয়ে যেতে পারবে না—শত চেষ্টা করেও একে কেউ অপবিত্র করতে পারবে না। প্রত্যেক মানব
দেহে সুপ্ত অবস্থায় থেকে প্রতিমুহূর্তে সৎ- সত্য-সুন্দর ও জ্যোতির্ময় হয়ে জেগে
উঠার জন্য সে ছটপট করছে। কিন্তু মানুষ নিজ অজ্ঞান দোষে তা বুঝতে পারছে না।