[ বেদ যজ্ঞের আসরে আজ পবিত্র ঈদের উৎসবে সবায় এক ঈশ্বর মুখী হয়ে প্রার্থনা
কর।]
হে ঈশ্বর আপনি আমারও প্রতিপালক, তাদের
সকলেরও প্রতিপালক। অতএব আমারা সবাই আপনার দিকেই মুখ করে চেয়ে থাকি ও আপনারই
বন্দেগী করি। এটাই আপনি আমাদের জন্যে সহজ –সরল সঠিক পথ করে দিয়েছেন একে অপরকে আপন
করে নেওয়ার জন্যে। এই মহাসত্য জেনে সবায় এক জোট হয়ে বলো----------
হে বীর- হে জ্ঞানী জাগ্রত মানবসত্তা- সাহস
অবলম্বন কর- কাপুরুষতা, দুর্বলতা ত্যাগ করে দীপ্তকণ্ঠে বলো—আমার নাজাম, আমার
প্রার্থনা, আমার ধর্ম – আমার কর্ম – আমার রোজা- আমার উপবাস- আমার সর্ব প্রকার
উপাসনা, আমার অনুষ্ঠান সমূহ- আমার জ্ঞান-বিজ্ঞান, আমার শিক্ষা-দীক্ষা, আমার
জীবন-যৌবন, আমার ধন- দৌলত, আমার বিবাহ, আমার সংসার, আমার জন্ম- মৃত্যু সবকিছুই সারা
জাহানের মালিক আল্লাহর জন্য উৎসর্গীকৃত।
আরও বলো—আমার আনন্দ- আমার দুঃখ- আমার ব্যাথা-বেদনা, আমার সংগ্রাম- আমার
পরিশ্রম আল্লাহর জন্যই নিবেদিত। তাদের মাধ্যমেই আল্লাহ আমাকে সৎপথে ও কল্যাণের পথে
চলার নির্দেশ দিচ্ছেন। আমার জ্ঞানগুরু ও অন্তরের দেবতা তিনি ছাড়া দ্বিতীয় কেউ নেই।
আরও বলো দিনরাত বলো—আল্লাহ ছাড়া আমার দ্বিতীয় কোন অভিভাবক নাই—তিনিই আমার
একমাত্র উপাস্য দেবতা—তিনিই আমার জ্ঞান-বুদ্ধি, বিবেক ও চালনা শক্তি। তাই তিনিই
আমার ও সবার একমাত্র মঙ্গলদায়ক শক্তি ও ভরসা। তাই বলো ভাই—আল্লাহ আমার শক্তি-
আল্লাহ আমার জ্ঞান—আল্লাহ আমার ভক্তি- আল্লাহ আমার একমাত্র অন্তরের দেবতা—আল্লাহ
আমার প্রাণ- সবার প্রাণ- আল্লাহ আমার আত্মা- সবার আত্মা—তাই আমরা সবাই এক।
আর
দিনরাত প্রার্থনা কর আর বলো—হে আল্লা- তুমি আমার হৃদয় নির্মল কর- পবিত্র কর- আমার
দুর্বলতা, কাপুরুষতা, অজ্ঞানতা বিনাশ কর- আমায় মানুষ করো—আমার জ্ঞানচক্ষু খুলে দাও—তোমাকে
প্রাণভরে আমায় দেখতে দাও প্রভু।