[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমাদেরকেই সর্বশ্রেণীর মানুষের অন্তরে পরিবর্তন
আনতেই হবে।]
পরিবর্তন আসবে, আসবেই। কোন একটা সংস্কার
চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। তোমরা সকলে বেদ যজ্ঞেই কেবল ঝাপিয়ে পড় সর্বশক্তি নিয়ে।
আর তাদের বুঝিয়ে বল – কোথাও কোন অবস্থাতেই তুমি কারও নিকট ভিক্ষা করবে না, ভিক্ষা
চাইবে না, ভিখারীর সৃষ্টি করবে না। জানবে ভিখারীর সুখ কোন জগতেই নেই। আমি সকলের
রাজা। তোমরা সকলেই রাজসন্তান। তোমরা সকলেই রাজ সম্পদের রাজ ঐশ্বর্যের অধিকারী।
তোমাদের আমি পূর্ণ করে দিয়েছি আমার সবকিছু দিয়ে; কোন কিছুরই ফাঁক রাখেনি—অভাব
রাখেনি- তবে কেন কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে ভিখারী সাজছো? মনে রেখো এ পৃথিবীর সকল
সম্পদেই তোমার সম- অধিকার রয়েছে। এ সম্পদ ভোগ করার যেমন তোমার সম-অধিকার রয়েছে- এ
সম্পদ রক্ষা করাও তোমার সম-দায়িত্ব রয়েছে। কোন দিকেই তোমার অবহেলা করা উচিত হবে
না। রক্ষা কর্তার হাতেই সম্পদের অধিকার জন্মে, তাই আগে রক্ষাকর্তার দায়িত্ব
সম্বন্ধে জ্ঞান-শক্তি অর্জন করে সচেতন হও, তবে আর তোমার সম্পদ কেউ নিজের বলে ধরে
রাখতে পারবে না। সাগ্রহে তোমার অধিকার তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে ভাই বলে আলিঙ্গন করবে।
এখন তোমরা যাকে আবর্জনা মনে করছো, এগিয়ে যাও তাদের মধ্যেই খুঁজে পাবে তোমার আসল
স্বরূপ, শক্তি ও আলো। ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।