[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরা সবার অন্তরের বিষ নাশ করে বেদের অমৃত ঢেলে দাও
প্রাণে।]
বেদের অপ্রতিদ্বন্দ্বী শাসন এখানে তোমদেরকেই
নিয়ে আনতে হবে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে। যে বেদ
যজ্ঞ করবে সে কোনদিন ভেদ দর্শন করতে পারে না। আর যারা ভেদ দর্শন করে তারা অন্তরে
বিষ নিয়ে বেদের সোম রস বা অমৃত পান করতে পারে না।
একমাত্র বেদের সোম রস বা অমৃত পান করেই স্পর্শবিষ থেকে মানুষকে মুক্ত থাকতে হয়। এই পৃথিবীর মায়া মোহতে
এমনি স্পর্শবিষ রয়েছে যে তা স্পর্শ করা মাত্র মানুষের দেহ- মন- প্রাণ- অন্তর-
চিত্ত বিষাক্ত হয়ে তারা চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে—এই চর্মরোগ থেকে মৃত্যুকালেও
তারা মুক্ত হতে পারে না। নিজের ছেলে- মেয়ে- বৌ- স্বামী –আত্মীয় স্বজন ছাড়া তারা
বিশ্বের সবায়কে নিজের আত্মীয় ভাবতেই পারে না—তাই মৃত্যুকালেও চর্মরোগ থেকে মুক্ত
হয়ে কেউ ব্রহ্ম চিন্তা নিয়ে আর ব্রহ্মে লীন হতে পারে না। সারা জীবন সংকীর্ণ মন –চিত্ত
নিয়ে থেকে মৃত্যুকালেও সেই সংকীর্ণ গণ্ডীতেই আবদ্ধ হয়ে অন্ধকার প্রদেশে প্রবেশ
করতেই হয় নিজ কর্মদোষে। তারা জানে না মানুষকে বেদ যজ্ঞ করে অন্ধকার থেকে আলোতে—অসৎ
থেকে সৎ-এ এবং মৃত্যু থেকে অমৃতের দিকে যাত্রা করতে হয় বেদের সোমরস পান করে
তেজস্বী ও দীপ্তিমান রূপ নিয়ে। ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি। [ WORLDHUMANEDUCATION
BLOGSPOT.COM IN or বিশ্বমানব শিক্ষা blogspot.com in লিংকে গিয়ে বেদ ও সনাতন জীবনের জনপ্রিয় লেখা গুলি
পাঠ করুন – ধন্যবাদ সকলকে বেদ যজ্ঞে সামিল হবার জন্যে।