[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরাও মহামুনি বেদব্যাসের ন্যায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে গোলক
ধাম থেকে মর্তলোকে নামিয়ে আনো।]
মহামুনি বেদব্যাস কত বড় শক্তিশালী ভগবান
শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত ছিলেন তা তাঁর প্রতিটি লেখার মধ্যে পাওয়া যায়। তিনি যে তাঁর
নিজের শক্তি ও ভক্তি বলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মানব লীলা দেখার জন্য ও জগতবাসীকে
দেখিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ-ই সকল সৃষ্টির মূল তা বোঝবার জন্য তাঁর বিভূতি দ্বারা
তাঁকে পৃথিবীর বুকে অবতার রূপে এনেছিলেন—এ তথ্য অনেকেই উপলব্ধি করতে পারবেন না।
মানুষ মায়াবদ্ধ জীব। তাদের ভুল প্রতি পদে পদে হতে পারে। স্বয়ং ব্রহ্মা, ইন্দ্র,
মহেশ্বর ও বিভিন্ন দেব-দেবীও ব্যাসদেবের এই বিভূতির মায়া জালকে ছিন্ন করে কাটিয়ে
উঠতে পারেন নি। তাঁরাও এই কৃষ্ণ ভক্তের কাছে পরাজয় স্বীকার করে তাঁর বিভূতির অনেক
স্তব- স্তুতি করেছেন। বেদ যজ্ঞ বলে একস্থানে বসে ধ্যানের মাধ্যমে বিশ্ব
ব্রহ্মাণ্ডকে অবলোকন করে কোথায় কি ঘটছে তা দেখবার ক্ষমতা তখনকার কালে বেশীরভাগ
যোগী- মুনি –ঋষিদের ছিল। বেদব্যাস ছিলেন সর্বশক্তিধর একজন যোগী। তিনি তাঁর যোগবলে
স্বর্গ –মর্ত্য –পাতালকে একসুত্রে গেঁথে তুলতে পারতেন। তিনি যোগবলে
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোথায় কি ঘটছে, তা সর্বদায় অবলোকন করে মানব কল্যাণমুখী কর্মে
সর্বদায় লিপ্ত থাকতেন। প্রকৃত মানব ধর্ম বা সনাতন ধর্ম প্রচার করার জন্য তিনি
যোগবলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মানবদেহে রূপ দিয়ে তাঁর দ্বারা অসাধ্য সাধন করিয়ে
জগতবাসীকে কৃষ্ণ ভক্ত করে তোলেন। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।