[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা কেবল তোমাদের জ্ঞান উৎসর্গ কর সবার মঙ্গলের
জন্যে।]
তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করছো দান করার জন্যে।
শিক্ষা গ্রহণ করে যে দান করে না—তারা কৃপণতার দোষে দুষ্ট হয়ে সংকীর্ণ হয়ে পড়ে।
তাদের শিক্ষার কোন মূল্য থাকে না। তারা ধীরে ধীরে অভিশাপ গ্রস্থ হয়ে জড়জ্ঞান
বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষে পরিণত হয়। তারা রূপে মানুষ হলেও বুদ্ধিতে শয়তান হয়ে পড়ে।
যে যত জাতীয় জ্ঞান, মানবিক মুল্যবোধ, নৈতিক
জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান নিয়ে চর্চা বা গবেষণা করবে সে তত নির্মল ও পবিত্র হৃদয়ের
মানুষ হয়ে উঠবে। মানব হৃদয় মন্দিরে ঈশ্বরের স্থান – সেই স্থান পবিত্র রাখার একটাই
পথ বিশ্বমানব শিক্ষার জ্ঞান। এ জ্ঞান-ই মানুষের হৃদয়কে পবিত্র রাখে।
যার হৃদয়ে মানুষের প্রতি বিশ্বাস নেই – তার
হৃদয়ে শ্রদ্ধা-ভক্তি- প্রেম নেই। সেই মানুষের হৃদয় মরুভূমির ন্যায় তপ্ত
বালুকারাশিতে পূর্ণ। এই অবিশ্বাসী লোকদের হৃদয়ে জ্ঞানের বাতি জ্বলতে পারে না—যতক্ষন
না তারা বিশাসী লোকে পরিণত হতে পারবে।
অনেক লোক ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে কিন্তু
মানুষকে বিশ্বাস করে না—তারা মূর্খ ও প্রতারক। তারা মানুষকে প্রতারিত করার জন্য
ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে ও সর্বকাজে তাঁর নাম ভাঙিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে। এই কাজ করতে গিয়ে তারা নিজেরাই
প্রতারিত হয় ঈশ্বরের কাছে। তাদের ঘাড়ে কখন শাস্তির মেঘ বর্ষিত হবে, তা তারা
নিজেরাই জানে না। ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।