[ বেদ যজ্ঞ করে আজকে শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদেরকে গুরু আসনে বসাবার জন্যে
তাঁদেরকে বেদ যজ্ঞে আহ্বান কর।]
আগামী কালের পরিবর্তে সরকারীভাবে আজকেই
সর্বত্র শিক্ষক দিবস পালন করা হচ্ছে আনন্দ করার জন্যে। সত্যই কি বর্তমানে শিক্ষকগণ
শিক্ষক বা সমাজের গুরুর মর্যাদা পাচ্ছেন? গুরু শব্দের অর্থ যিনি অন্তরের অন্ধকার
দূর করে মুক্তির আলো দেখান। আমরা কি সত্যই মানুষের অন্তরের অন্ধকার দূর করার জন্যে
চেষ্টা করি?কেন শিক্ষকগণ মানুষ তৈরীর কারিগড় হয়েও মানুষের অন্তরের বিষ নাশ করে সেই
অন্তরে অমৃত ঢেলে দিতে পারছেন না—নিজেদের হাতে অমৃতের ভাণ্ড থাকা সত্ত্বেও? আমরা কেন বেদ যজ্ঞের জন্যে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
যেখানে বেদের অনুশাসন শিক্ষা দিই না? যিনি নিজের কায়দণ্ড বাকদণ্ড ও মনোদণ্ডকে সংযত
রেখে বেদের অনুশাসন নিজের শিষ্য বা ছাত্রকে শিক্ষা দেন তিনিই তো প্রকৃত গুরু।
নিজের জ্ঞানের শিখা দ্বারা শিক্ষক ছাত্রের জ্ঞানের শিখাকে ঈশ্বরের জ্ঞানের শিখার
সাথে বেঁধে দিবেন এমনভাবে যাতে সেই ছাত্র জ্ঞান-ভক্তি- প্রেম- বিশ্বাসের বাইরে না
যেতে পারে—গুরু শিষ্যের মধ্যে কোনদিন বিভেদ সৃষ্টি না হয়। বেদের বা জ্ঞানের
অনুশাসন মেনে গুরু শিষ্য বা ছাত্র-শিক্ষক সবকিছুকেই যেন ব্রহ্মময় দেখেন—কেউ যেন
পদচ্যুত না হউন। উভয়ের প্রার্থনা যেন অন্ধকার থেকে আলোতে—অসৎ থেকে সৎ-এ এবং মৃত্যু
থেকে অমৃতের পথে সকলকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যায়—তাহলেই শিক্ষক মানুষ, সমাজ ও দেশ গড়ার
কারিগড় রূপেই সকলের কাছে পূজিত হবেন ও সমাজে পুনঃ গুরুর আসন পাবেন। ওঁ শান্তি শান্তি
শান্তি।