[ বেদ যজ্ঞ হচ্ছে জনকল্যাণমুখী কর্ম – তাই বেদ যজ্ঞ করলেই জীবের সনাতন ধর্ম
সুরক্ষিত থাকে।]
মহামুনি বেদব্যাস মানব জাতিকে বেদ যজ্ঞে
আহ্বান করে জানাতে চেয়েছেন একমাত্র বেদজ্ঞান বা আত্মজ্ঞান লাভ করলেই মানুষের জন্ম-
মৃত্যুর ঘূর্ণিপাক থেকে মোক্ষ লাভ করা সম্ভব। এই বেদ যজ্ঞ মানুষের হৃদয় মন্দিরে
প্রকৃতির বশে হয়ে চলেছে। তাই মানুষ বা জীব মুহূর্ত মাত্র কর্ম ছাড়া থাকতে পারে না –
প্রকৃতির বশে তাকে কর্ম করতেই হবে। মহামুনি বেদব্যাস বললেন—যখন কর্ম করতেই হবে তখন
তোমরা সমস্ত কর্ম ঈশ্বরকে অর্পণ করে কেবল তাঁর জন্যেই কর। কারণ তুমি যদি নিজের
জন্যে কর্ম কর তবে সেই কর্মের মধ্যে তুমি আবদ্ধ হয়ে যাবে—এখান থেকে আর মুক্ত হতে
পারবে না। আর যদি তোমরা নিজের আত্মার মুক্তির জন্যে কর্ম কর তাহলে তোমার আত্মা এই
কর্মের দ্বারাই পরমাত্মা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সাথে সেতু বন্ধন করে সদা
তাঁরই সাথে যুক্ত থাকবে। এইভাবেই তিনি জ্ঞানীর কর্মকে মোক্ষের পথ ও অজ্ঞানীর
কর্মকে বন্ধনের পথ বলে মানব জাতির কাছে তুলে ধরলেন। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।