[বেদ যজ্ঞ অতি প্রাচীন ও অতি পবিত্র বিশ্বচরাচরে সবার মুক্তির জন্যে এক
শক্তিশালী মাধ্যম।]
বেদ যজ্ঞ আমার দ্বারা শুরু হয় নি। তাই এই যজ্ঞের সুফল ও কুফল আমাকে স্পর্শ
করতে পারবে না। এই যজ্ঞের কথা প্রথম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সূর্যকে বলেন। সূর্য তাঁর
পুত্র মনুকে বলেন। মনু এই বেদ যজ্ঞের কথা ইক্ষবাকু রাজাকে বলেন। এইসুত্র ধরেই জনক
রাজা এই যজ্ঞ করে করেন। তারপরেও এই যজ্ঞ ধারা মেনে এই পৃথিবীর বুকে চলছে। এই
যজ্ঞের কথা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট থেকে সরাসরি মহামতি অর্জুন জানতে পারেন।
অর্জুনের পরেই ধীরে ধীরে এই যজ্ঞ বিভিন্ন রূপে ভাগ হয়ে দুর্বল হতে থাকে কালের কবলে
পড়ে। এই যজ্ঞকে ঘিরে নানামুনির নানা মত প্রচলিত হতে থাকে। মানব জাতি বিভ্রান্তির
মধ্যে পড়ে যায়। কারণ যে যজ্ঞ রাজা কর্তৃক সম্পাদিত হতো ও প্রজারা সেই যজ্ঞে অংশ
গ্রহণ করতো তা রাজাদের দুর্বলতার কারণে সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসে এক শ্রেণি
ব্রাহ্মণদের হাতে। পরবর্তীতে এই বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে ব্যবসায় –বাণিজ্য শুরু হয় ও
মানব জাতির শ্রদ্ধা এই যজ্ঞের প্রতি কমতে থাকে। ধীরে ধীরে তাই বেদ যজ্ঞ মানব সমাজ
থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই বেদ যজ্ঞ বিলুপ্তির কারণে মানুষ নিজেদের সৎ- সত্য-
সুন্দর ও জ্যোতির্ময় রূপ হারিয়ে ফেলে দুর্বল থেকে দুর্বলতম হতে থাকে। ঈশ্বরের
নির্দেশই পুনঃ বেদ যজ্ঞ শুরু হয়েছে এই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে আসুন সবায় তাহলেই পুনঃ
বেদের যুগ ও সত্যযুগ আমরা আমাদের উত্তরপুরুষকে উপহার দিতে পারবো। ওঁ শান্তি শান্তি
শান্তি।