[ বেদ যজ্ঞ করে প্রাণের উপাসনা করে প্রাণের প্রদীপ জ্বালাও।]
আমরা শব্দ, বাক, সংকল্প, চিত্ত, ধ্যান,
জ্ঞান-বিজ্ঞান, বল বা শক্তি, অন্ন, জল, তেজ বা অগ্নি, আকাশ, স্মৃতি ও আশার উপাসনা
পরপর কিভাবে বেদ যজ্ঞ-এর মাধ্যমে করতে হয়
জানলাম। এই উপাসনাগুলি পরপর না করলে আমরা কিছুতেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের সুত্রকে
প্রাণে ধরে রেখে প্রাণের প্রদীপ জ্বালাতে সক্ষম হব না কেবল তা করতে গিয়ে অন্ধকারে
ঢিল ছুঁড়তে থাকবো। যে উপাসনা গুলি নিয়ে আলোচনা হল তা সবই প্রাণকে আলোকিত করার
জন্যে অতি উচ্চমানের বিজ্ঞান ভিত্তিক উপাসনা। প্রাণের প্রকাশ- বিকাশ ঘটাবার জন্যে
পঞ্চভূত তথা ক্ষিতি-অপ- মরুৎ- ব্যোম- তেজ এর প্রয়োজন। কিন্তু প্রাণ যেহেতু এগুলোর
অধীন নয় সে হেতু বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র বিচরণশীল এক স্বাধীন সত্তা। এই
সত্তাকে জানলেই নিজেকে জানা হয়ে যায়। মন, বুদ্ধি ও অহংকার দ্বারা এই সত্তা
পঞ্চভূতের আধারে আবদ্ধ হয়ে থাকে—যখনি মানুষ নিজের প্রাণকে মন, বুদ্ধি ও অহংকার
থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয় তখনি সে আত্মজ্ঞানে ভরপুর হয়ে যায়। সেই সময় সে নিজ
দেহকে মহাকাশের ন্যায় বিশাল ও মহাকাশে ভাসছে তা দেখতে পায়। এই উপলব্ধির জগতে এসে
মানুষ নিজেকে আর খুঁজে পায় না--- এক মহাপ্রাণের সাথে যুক্ত হয়ে মহানন্দলোকে বিচরণ
করে। ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।