Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে অন্তরে ভক্তি- শ্রদ্ধা জাগ্রত করতে থাকো সর্বসিদ্ধি তোমার করতলে স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসবে।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে অন্তরে ভক্তি- শ্রদ্ধা জাগ্রত করতে থাকো সর্বসিদ্ধি তোমার করতলে স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসবে।


[বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে অন্তরে ভক্তি- শ্রদ্ধা জাগ্রত করতে থাকো সর্বসিদ্ধি তোমার করতলে স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসবে।]
সবার অধিকার আছে ভক্তি ও শ্রদ্ধাসহকারে এ জগতে কর্ম অর্থাৎ যজ্ঞ করার। এই ভক্তিযোগ সর্বশ্রেণীর মানুষের মুক্তির জন্যেই প্রশস্ত। এই যোগের উপর বসে কর্ম করলে পতনের কোন ভয় থাকে না। ভক্ত্যা অসাধ্যং ন কিঞ্চিৎ অস্তি—কথাটির অর্থ হল—ভক্তি দ্বারাই সর্বসিদ্ধি লাভ হয়, ভক্তির অসাধ্য কিছু নাই। ভক্তি হতেই মুক্তি আসে। ভক্তিযুক্ত হলেই বুদ্ধিমানের অন্তরে বেদ জ্ঞান বা তত্বজ্ঞান জাগ্রত হয়। এই বেদ জ্ঞান কিভাবে ভক্তি দ্বারা জাগ্রত হয় ? ভক্তবৎসল ভগবান নিজেই ভক্তের অন্তরে ভক্তিনিষ্ঠাকে যাবতীয় মোক্ষবিঘ্ন হতে পরিপালন করেন; তিনিই ধীরে ধীরে ভক্তের সান্নিধ্যে থেকে তাঁর সর্বাভীষ্ট পুরণ করেন; পরিশেষে মোক্ষ প্রদান করেন। বিষ্ণু মানে যিনি সর্বত্র নিজের প্রভাব বিস্তার করে আছেন – সেই বিষ্ণুভক্তি বিনা চতুর্মুখ ব্রহ্মাদি কারও কোটি কল্পে মোক্ষলাভ ঘটে না। কারণ ছাড়া কোন কার্য্য হয় না; ভক্তি বিনা ব্রহ্মজ্ঞান কখনও হয় না। সেজন্যে সর্ববিধ উপায় পরিত্যাগ করে ভক্তিযোগের দ্বারা বেদ যজ্ঞের আশ্রয় গ্রহণ কর, ভক্তিনিষ্ঠ হও – এটাই হচ্ছে মুক্তির সহজ- সরল পথ সবার জন্যে। হরি ওঁ তৎ সৎ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide