[ বেদ যজ্ঞ করে সৃষ্টি –স্থিতি- লয়ের কারণ আবিষ্কার করে পরব্রহ্মে লীন হয়ে
থাকো।]
আমরা মাকড়সাকে দেখতে পায় সে নিজের ভিতর থেকেই
জাল সৃষ্টি করে এবং নিজেরই ভিতরে সেটি গুটিয়ে নেয়। ঠিক তেমনি আমরা এই পৃথিবীর বুকে
স্বাবাভিক ভাবে গাছপালা ও ওষধিসমূহ জন্মাতে দেখি। একই ভাবে জীবন্ত পুরুষের শরীর
হতে কেশলোম গজায়—ঠিক তেমনই স্বাভাবিক ভাবে অক্ষর পরমপুরুষ থেকে এই জগতব্রহ্মাণ্ডের
উদ্ভব। পরমপুরুষ হলেন একাধারে জগদব্রহ্মাণ্ডেরর নিমিত্তকারণ, ঊপাদানকারণ এবং
লয়কারণ। মাকড়সার উদাহরণটি ব্রহ্মকে জানার জন্যে ও ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করার জন্যে সবার
উপযোগী। মাকড়সার ইচ্ছা ও পরিকল্পনা দ্বারা জাল সৃষ্ট হয়( নিমিত্তকারণ), নিজের
মুখের লালা দিয়ে সে সুতো তৈরী করে( উপাদানকারণ), আবার সেই সুতো সে নিজেরই ভিতর
গুটিয়ে নিতে পারে (লয়কারণ)। এই সুত্র ধরেই মানুষকেও নিজের ভিতর থেকেই নিজেকে
প্রকাশ করতে হয় বাইরের জগৎ সৃষ্টি করার জন্যে—আবার সময় হলে নিজেকে নিজের ভিতরেই
গুটিয়ে নিতে হয় ফিরে যাবার জন্যে। হরি ওঁ তৎ সৎ।