বেদ যজ্ঞ করে
বিশ্বমানব শিক্ষার বা বেদের কর্মী হয়ে জীবন সার্থক কর। [বিশ্বমানব শিক্ষা]
প্রথমে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে জননী ও
জন্মভূমিকে ভালবাসতে শিখো –শ্রদ্ধা করতে শিখো—তাদের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে
শিখো। জননী ও জন্মভূমির প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে, আর তোমার জীবনে কোন অভিশাপ থাকবে না।
তূমি মুক্ত পুরুষ হয়ে জ্ঞানের জগতে প্রবেশের ছাড়পত্র পেয়ে যাবে।
বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে নিজ গ্রামের সকল
পুরুষ ও মহিলাকে আক্ষরিক জ্ঞান দান করে প্রথমে নিজেদের নাম ও ঠিকানা লিখতে শিখাও।
তারপর ধীরে ধীরে তাদেরকে বিশ্বমানব শিক্ষার জ্ঞান দিয়ে সকলকে বিশ্বমানব শিক্ষার
কর্মী করে তোলো। তাদেরকে অজ্ঞানের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা তোমার জাতীয় দায়িত্ব ও
কর্তব্য।
মানব সমাজে এখনো অনেক কুসংস্কার অশিক্ষা-
কুশিক্ষা রয়েছে ধীরে ধীরে সে সব থেকে তাদেরকে মুক্ত আলোর পথে নিয়ে এসো। সকলে যাতে
সস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে বেঁচে থাকতে পারে তার জন্য স্বাস্থ্যের উপর শিক্ষা
সেমিনার কর ও খদ্যের গুনাগুন নিয়ে আলোচনা কর। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ নিয়ে আলোচনা
কর। কিভাবে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা যায় তা নিয়ে শিক্ষা সেমিনার সর্বত্র চালিয়ে
যাও।
জাতীয় সম্পদ কিভাবে রক্ষা করতে হয়, দেশের
সঙ্ঘতি ও আইন শৃঙ্খলা কিভাবে সুরক্ষিত রাখতে হয় প্রতিনিয়ত
শিক্ষা সেমিনার করে সকলকে সচেতন কর বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে। তোমাদেরকে শিক্ষা
সেমিনারের মাধ্যমেই সকলকে দেশ প্রেমিক নাগরিক রূপে গড়ে তুলতে হবে। তারা যেন
প্রত্যেকেই প্রত্যেকের বিপদে আপদে ঝাঁপিায়ে পড়ে সেই ভাবে প্রশক্ষিন দিয়ে যাও।
রাজনৈতিক নেতারা ভোট দেওয়ার প্রশক্ষিন দেয় নিজের দলকে ভোট দেওয়ার জন্য, তোমরা যাও
দেশবাসীকে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জ্ঞানের ও প্রেমের চাবুক নিয়ে। সবাই
কোন না কোন রোগে আক্রান্ত, তাই তোমরা ডাক্তারের ভূমিকা অবলম্বন করে অপারেশন চালাও
ও বিশ্বমানব শিক্ষা মহৌষধ প্রয়োগ কর। এই ঔষধে সমস্ত প্রকার রোগ সেরে যাবে ও সমাজের
সর্ব শ্রেনির মানুষ সুস্থ হয়ে উঠবে।
সহজ সরল ছোট ছোট কথার
মাধ্যমে শিক্ষা দিবে। সৎ কাজে উৎসাহ দিয়ে একসঙ্গে যাতে তারা সেই কাজ করে দেশের
স্বার্থে, সেই প্রশিক্ষন চালিয়ে যাবে। সরকারী অর্থ কেউ যাতে অপচয় না করে সেদিকে
সজাগ দৃষ্টি রাখার প্রশিক্ষণ দিবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা যে কোন বিপর্যয়ের
মোকাবিলা এক সঙ্গে কাজ করার প্রশিক্ষণ দিবে। আমার এই বক্তব্য লিখে প্রচার কর তাতে
অনেকটা কাজ হবে। আমি তো প্রতিদিন গ্রামে গ্রামে তোমাদের নিয়ে শিক্ষা সেমিনার করি।
তোমাদেরকে এই মঞ্চে পেয়েছি এই সেমিনারের মাধ্যমে।
তোমরা মহাপুরুষ –মহামানব-
নবি-অবতারদের জীবনী ও কর্ম নিয়ে খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করে তাদের প্রদর্শিত পথে
চলতে উৎসাহ দিবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ ধর্মানুষ্ঠান ও আচার আচরণ পালন করতে উৎসাহ
দিবে ও একে অপরকে অনুষ্ঠানে সাহায্য-সহযোগিতা করবে। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী
–তাই তোমাদের নিকট সব জাতিই বড় –সব ধর্মই শ্রেষ্ঠ। কেবল জ্ঞানের অভাবে মানুষ
হীনমন্যতায় ভুগছে। তোমরা সকলেই ডাক্তার- যাও এবং সকলকে রোগমুক্ত জীবন দান কর।
তোমরা মানুষের মনের
ডাক্তার। বেশীরভাগ মানুষ মনের রোগে ভুগছে। তোমরা যাও বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে
তাদের নিকট। তাদেরকে রোগ মুক্ত করে চাঙ্গা করে তুলো। মনের রোগে ভুগলে কেউ প্রকৃত
সত্যকে জানতে পারবে না—প্রকৃত সত্যকে জানলেই মানুষ রোগমুক্ত হয়ে অজ্ঞানের অভিশাপ
থেকে মুক্ত হয়ে যায়।
দেখবে সবায় কিন্তূ
তোমার থেকে জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান। তারা তোমায় অনেক জ্ঞানের কথা বলবে। বুদ্ধি দিয়ে
তোমাকে বোকা বানিয়ে ফেলবে। নিজে অজ্ঞানী ও বোকা হয়ে, তাদেরকে অন্ধকার কারাগার থেকে
মুক্ত করে আলোয় যখন নিয়ে আসবে –তখনি তারা তোমাকে এমনভাবে মিথ্যা কথা বলবে যে
তাদেরকে অবিশ্বাস করার উপায় থাকবে না। পরে বুঝতে পারবে তারা সত্য বলতে ভুলে গেছে।
সেসব মানুষকেই তোমাদের বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী রূপে গড়ে তুলতে হবে পরশ পাথরের
ছোঁয়া দিয়ে। মনে রাখবে এই বিশ্বমানব শিক্ষা বিশ্বের সকল মানুষের জন্য পরশ মণি। এর
তুলনা কোন কিছুর সাথে করা যাবে না।
আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা
করে আপনার ধর্ম কি? আমি বলি বিশ্বমানব শিক্ষা আমার ধর্ম- কর্ম ও জীবন। তাই আমাকে
বিশ্বমানব শিক্ষা নামেই জানবে। এটাই আমার নাম, ধর্ম কর্ম ও জীবন। এর বেশী আমি কিছু
জানি না।
প্রকৃত সত্য মানুষ
খুঁজতে একটাও খুঁজে পাবে না। শয়তানী বুদ্ধিতে ভরপুর হয়ে গেছে এই পৃথিবী। শতকরা
হয়তো দু-চারটি আছে তাদের শনাক্ত করা বড়ই কঠিন ভিড়ের মধ্যে। আর শতকরা ১০ ভাগ মানুষ
পাবে যারা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তোমরা তাদের সাথে সংযোগ করার সাথে সাথে
এগিয়ে আসবে তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে এই সৎ কর্মে। তারা এগিয়ে এলেই আরও শতকরা
২৫ভাগ মানুষ তোমাদের সমর্থন করবে ও সব ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। বাকী ৬৩ ভাগ
মানুষের সমর্থন তোমরা পাবে না। তারা হয় বিরোধিতা করবে নয়তো বিভিন্নভাবে সমালোচনা
করে তোমাদের সংগঠনকে ভাঙ্গার চেষ্টা করবে—এরাই হচ্ছে শয়তান।
যারা কেবল দান করে,
কারও দান গ্রহণ করে না তারাই জগতে সুখী ও মুক্ত লোক। তাই তুমি বিশ্বমানব শিক্ষার
কর্মী হয়ে সকলকে দান করে যাও—কারও দান গ্রহণ করার বাসনা মনে প্রাণে স্থান দিও
না।যারা দান গ্রহণ করে তারা ভিখারী—ভিখারির ইহকাল ও পরকালে কোন স্থান নেই ও সুখ
নেই। যারা দান করে তারা-ই রাজা। রাজার স্থান সর্বস্থানে ঊর্ধ্বে অবস্থান করে। মনে
রাখবে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী মানেই এই পৃথিবীর বুকে স্বাধীন রাজা।।
[বিশ্বমানব শিক্ষা] [দ্বিতীয় অধ্যায়]
যারা অল্পে খুশী থাকে
তারাই জ্ঞানী ও সমস্ত দুঃখ জয় করার শক্তি ও ধৈয্য লাভ করে। তোমরা ধৈয্যশীল হও,
সহিষ্ণুতা লাভ করে ধারন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রকৃত জ্ঞানী হও। পবিত্র হয়ে সর্বদা
পরমপিতার সাথে যুক্ত হয়ে সৎ চিন্তা ও সৎ কর্মে লিপ্ত থাকো। তোমরাদের কোন কিছুর
অভাব নেই এ সুন্দর পৃথিবীর বুকে, গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখো তোমাদের কেবল জ্ঞানের
অভাব। জ্ঞানের জগতে যাবার ছাড়পত্র গ্রহণ কর বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে – সব অভাব
মিটে যাবে।
কেউ তোমার জন্য কিছু
কুরে দেবে না—তুমি নিজে যদি তোমার ভাগ্যের উন্নতি করার জন্য তৎপর না হও। তোমার
ভাগ্যের উন্নতি তোমাকেই করতে হবে—ভাগ্যের দুয়ার তোমাকেই খুলতে হবে—তার কারণ সেই
চাবি কাঠি তোমার হাতে। সব জেনে-বুঝে কেন তুমি বসে
আছো, সময় চলে গেলে আর কিছুই করার শক্তি খাকবে না। তাই সময়ের মধ্যেই তোমাকে
কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। জীবনকে সত-সত্য-সুন্দর ও জ্যোতির্ময় করে গড়ে তুলতে হবে।
মিথ্যার আশ্রয়ে গিয়ে
সাময়িক আনন্দ পেতে পারো। কিন্তূ তোমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। চারদিক থেকে যখন অপমান
নেমে আসবে তখন সহ্য করা তোমার পক্ষে কঠিন হয়ে যাবে। ক্ষুদ্র সময়ের জন্য এই জীবন
পেয়েছো তাই মিথ্যাকে ছেড়ে সত্যের সাধনা কর বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে। রত্নের
সাগরে এসে নুড়ি পাথরের খোঁজ করছো কেন?
জীবন কোনটাকেই ধরে
রাখতে পারবে না, কিন্তূ চিরকাল সত্যকে ধরে রাখতে পারবে। সত্যকে জানো ও সত্যের
সাধনা কর নিশ্চয় তুমি ফুলের মতো ফুটে উঠবে ও ঈশ্বরের চরণে নিজেকে উৎসর্গ করতে
পারবে। যা ধরে রাখতে পারবে না ও তোমার কাজে লাগবে না, তা সঞ্চয় করে লাভ কি? এমন
জিনিষ সঞ্চয় কর যা তোমার চিরসাথী হয়ে থাকবে।
স্বয়ং ঈশ্বরও সময়কে
ধরে রাখতে পারেন না, তুমি আমি তো তুচ্ছ মানুষ। তাই পরে করবো বলে কোন কাজ ফেলে
রাখবে না। সময়ের মধ্যে নিজের কর্তব্য কর্ম প্রাণ ঢেলে করে যাও। তা না হলে আর সেই
কাজ তুমি এ জীবনে শেষ করতে পারবে না। বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে নিজে সময় হয়ে
উঠো এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে আগে শিখো। সৎকর্ম করা ছাড়া তোমার জীবনের
কোন মূল্য নেই।
সৎ চিন্তা করলেই সৎ
কর্ম করতে পারবে। সৎ গ্রন্থ পাঠ করলেই সৎ ভাবনা জাগ্রত হবে। তাই অবশ্যই সৎ গ্রন্থ
পাঠ করতে ভুল করবে না।গ্রন্থ পাঠ তোমার জীবনকে সুন্দর রূপে গড়ে তোলার উৎসাহ ও সাহস
যোগাবে। ধীরে ধীরে নিজের অন্তরে গ্রন্থাগার এসে ভিড় জমাবে—প্রকৃত সত্যকে জানার
জন্য। এখন থেকেই গুছিয়ে রেখো গ্রন্থাগারে তোমার গ্রন্থের
ভাণ্ডার, যাতে পাঠকদের কোন অসুবিধা না হয় সত্য গ্রন্থ পেতে। তোমার জ্ঞানের ভান্ডার
অর্থাৎ গ্রন্থাগার খুলে দাও সকলের জন্য। সাবধান এই গ্রন্থাগার খুলে ব্যবসায় করতে
যাবে না, তা করতে গেলেই বিভ্রাটে পড়ে সব ছাড়খার করে ফেলবে।
তোমার জ্ঞানের ভাণ্ডার
সকলের জন্য খুলে দিবে। গ্রন্থাগারে এসে যে যা বই চাইবে তাই দিবে। কে কি ভাবে সেই
বই-এর জ্ঞান সঞ্চয় করবে তা তুমি দেখতে যাবে না। তারা নিজেরাই পরীক্ষা দিতে থাকবে
আপন আপন জ্ঞানের জগতে।তুমি শুধু দেখে যাবে ও তাদের নিয়ে সৎ গ্রান্থাগার পরিচালনা
করবে সকলের চাহিদা মতো গ্রন্থ যোগান দিয়ে।
সাধারণ খাবার খেয়ে
জীবন-যাপন করবে আর অসাধারন সত্য জ্ঞানের অধিকারী হয়ে তোমার সৎ--সংগঠনকে শক্তিশালী
করে গড়ে তুলবে। যারা সাধারণ খাবার খেয়ে সাধারণ জীবন যাপন করে তাদের সময়ের অভাব হয়
না। তারা সময়কে কাজের মধ্যে বন্দী রেখে সময়ের মধ্যে নিজের কাজ শেষ করতে সক্ষম হয়।
কখনো বিজ্ঞাপনের চমক দেখে আড়ম্বর জীবন যাপনের দিকে পা বাড়াবে না তাহলেই পথভ্রষ্ট
হয়ে পড়বে।
নিজের কাজ নিজে করবে।
অপরকে নিজের কাজ করে দেওয়ার জন্য হুকুম করবে না। তুমি বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে
যেন তোমাকে কোন অহংকার স্পর্শ না করে। সকলের নিকট যাও ও এমনভাবে তাদের আপন করে
নাও, যে তুমি যেন সেই পরিবারের একজন সদস্য ও কর্মী, তারা যেন সেটা মেনে নেয়। সকলকে
ভালবাসায় তোমার ধর্ম –সকলকে আপন করে নেওয়ায় তোমার কর্ম।
প্রথম প্রথম ছোট
মূল্যবান বক্তব্য লিখে নিয়ে সভায় বলবে। তারপর সে সব কথা অন্তরে এমনভাবে ধরে রাখবে,
যেন ভুল না হয়। মিথ্যা ভাষণ কখনো দিবে না। যা চিরন্তন সত্য তার উপর ভাষণ দিবে। খুব
সহজ সরল ভাষা ব্যবহার করবে,যাতে শ্রোতাদের বুঝতে কোন অসুবিধা না হয়। কাউকে আক্রমণ
করে কোন ভাষণ দেবে না। ভুল পথ থেকে সঠিক
পথে সকলকে আনার জন্যই তুমি সত্যকে তুলে ধরবে। সত্যকে সুন্দররুপে প্রকাশ করবে
শ্রোতাদের সামনে তাহলেই তুমি শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়ে উঠবে। বক্তব্য দিতে না পারলে তোমার
ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটবে না। ব্যক্তিত্বের বিকাশ না ঘটলে তোমার সৎ সাহস হবে না, সৎ
কর্ম করার। তাই বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে অবশ্যই ভাল বক্তা হতে হবে।
তোমাদের সৎ সংগঠন গড়ে তোলার জন্য তোমাদেরকেই অর্থের
যোগার করতে হবে।তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তূলে সকলের নিকট
যাবে। সকলের নিকট সাহায্য সহযোগিতা নিবে তবেই তো তারা তোমাদেরকে সমর্থন করবে।
দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক ছাড়া কখনো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।
তোমরা যে এগারো জন ছেলে-মেয়ে মিলে বিশ্বমানব শিক্ষা
ট্রেনিং সেন্টার খুলেছো তা একদিন বিশ্ববাসীকে পথ দেখাবে। তোমরা চাঁদা তুলে তোমাদের
পাশবুকে অর্থ জমা কর। তোমাদেরই জায়গার ব্যবস্থা করে ঘর দুয়ার করতে হবে। তোমরা এগারো
জন সংঘবদ্ধ হয়ে কাজে নেমে পড়—দেখবে কত সহজে সেই কাজ তোমাদের হয়ে যাচ্ছে—ঈশ্বরের
আশীর্বাদে। সৎ-ইচ্ছা শক্তি, কর্ম শক্তি অ জ্ঞান শক্তির দ্বারা তোমাদের এই কাজ করে
অমর হতে হবে পৃথিবীর বুকে।