[বেদ যজ্ঞে দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোকপাত।]
১] দেশের আর্থিক অবস্থা দেশের মানুষের
বুদ্ধির উপর নির্ভর করে। মানুষকে বুদ্ধি বলে অর্থনৈতিক উন্নতি করতে হয় নিয়ম ধরে।।
কৃষি –শিল্প-বানিজ্যে উন্নতির জন্য যে জ্ঞান বুদ্ধির প্রয়োজন। তা শিক্ষার মাধ্যম
দিয়ে দেশ করবে সবদিকে আয়োজন।।
২] দেশে মানব সম্পদের যত বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে
থাকবে। ততই মানুষ বুদ্ধি বলে অর্থনীতির বাজার চাঙ্গা করতে পারবে।। প্রাকৃতিক সম্পদ
ও বস্তু সম্পদ যত বুদ্ধি বলে কাজে লাগাবে। ততই দেশের সম্পদ উন্নত মানের হয়ে অর্থ
নিয়ে আসবে।।
৩]
দেশের সম্পদ কেবল কয়েকজনের হাতে থাকলে। কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নতির ফসল পাবে
সকলে।। তাই সম-বন্টন নীতির আইন দেশে কার্যকরী হলে। সকলেই সুফল পেতে পারে দেশের
আইনবলে।।
৪] যারা আইনের রক্ষক তারাই যদি ভক্ষক হয়ে
বসে। সে দেশের গরীব প্রজা- গরীব হয়ে খাটে শুধু আশে।। তাদের জীবনের সব রস খেয়ে নেয়
সেই নেতারা। যাদেরকে নেতা করে মন্ত্রী
করে পাঠায় তারা।।
৫]
দেশের সম্পদ মানুষকে যে দেশ অবহেলা করে। সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ফসল
সবায় পেতে না পারে।। যাদের হাতে সম্পদ আছে তারাই সম্পদ বাড়িয়ে চলে। অন্যদের
অবস্থার উন্নতি পড়ে থাকে তাদের কবলে।।
৬] সরকারী কর্মচারীর উন্নতি হয় সরকারের
কৃপায়। সাধারণ লোক কিন্তু এই উন্নতির ফল কিছু না পায়।। শিল্পপতির উন্নতি ঘটে তাদের
বুদ্ধি ও অর্থ বলে। গরীব লোক তাদেরকে দেয় কিন্তু পায় না সকলে।।
৭] ছিটে ফোটা পেয়ে তারা দেশের জন্য কাজ করে।
তারা না কাজ করলে দেশের অগ্রগতি কি হতে পারে।। মাঠে পরিশ্রম করে ফসল ফলায় যে
কৃষকের দল। তারা সব এতই গরীব যে খেতে পায় না নিজের ফসল।।
৮] নেতারা ভাবে দেশে গরীব না থাকলে দেশ চলবে
কেমনে। তাই তো গরীব করে রাখতে হবে তাদেরকে সে সব স্থানে।। তারা চাষ না করলে দেশে
তো খাদ্যাভাব দেখা দিবে। ধনী হয়ে গেলে কেউ আর জমিতে চাষ করতে না যাবে।।
৯] সবায় যদি বুদ্ধিমান হয়ে জ্ঞানী হয়ে যায়
একদিনে। কেউ তো তখন মুটে মজদুরের কাজ করবে না এখানে।। কল কারখানা বন্ধ হবে শ্রমিক
সর্বত্র না পেলে। চিন্তা করে-ই বুদ্ধিবলে নেতারা এসব কাজ করে কৌশলে।।
১০]
কুট-বুদ্ধি দেবার জন্য কত আই-এ-এস ও কমিশন আছে। তাদের বুদ্ধি নিয়ে-ই দেশের
যাবতীয় পরিকল্পনা হচ্ছে।। অভাব সৃষ্টি করে দেশের লোকের স্বভাব নষ্ট করা হয়। বড় বড়
কুট বুদ্ধির লোক নেতাদের মাথায় এসব বুদ্ধি দেয়।।