[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরা মূল থেকে যত শাখা –প্রশাখা বের হয়েছে তাদের একত্রিত
করো তাহলেই বিশালত্বের সুরকে জানতে পারবে।]
তোমরা এই বিশ্বের মানব সমাজে যত ধর্ম দেখছো
তা এক সনাতন মূলের সাথে যুক্ত। কেউ তারা মূল থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। গুড়ি থেকে প্রথম
একটাই পল্লব নির্গত হয়- তারপর তা বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে যায় বিভিন্ন রূপ নিয়ে। এগুলি
যতই রুপ-রস – সৌগন্ধ –সৌরভ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ুক না কেন কেউ
কিন্তু মূল গুড়ি থেকে ছিন্ন হলেই শুকিয়ে যাবে। বিশ্বাস – প্রত্যাশা- প্রেম-
ভক্তি নিয়ে সবায় বেড়ে চলে মূলকে কেন্দ্র করে। এই মূলকে ছেদন করার শক্তি কোন শাখা
প্রশাখার থাকে না। তাই তোমরা নিজের জ্ঞান- বুদ্ধি- বিবেককে জাগ্রত করে মূলকেই ধারণ
করে এগিয়ে যাও। এই পৃথিবীর মাটি থেকেই যখন তোমাদের সৃষ্টি তখন তোমরা সবাই প্রথমে
বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী – তোমাদের এখানে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে জানতে হলে
তোমাদেরকে বেদ অর্থাৎ জ্ঞান যজ্ঞ করতেই হবে। বেদ যজ্ঞবিহীন মানব জীবনের কোন মূল্য
নাই—এই বেদই হচ্ছে মূল সনাতন যা থেকে এই ব্রহ্মাণ্ডের সবকিছু সৃষ্টি। বেদের সুরের
সাথে যুক্ত হলেই মানব আত্মা বিশালত্বের সাথে যুক্ত হয়ে এক সত্যে স্থির হয়ে
যায়।