বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৮ /০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোরশালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ মানেই সবার মঙ্গলের জন্য শুভকাজ কিন্তু
এই কাজেই বাধা সৃষ্টিকারীর সংখ্যা অধিক।]
বৈদিক যুগে মুনি- ঋষিরা ছিলেন মুক্ত
পুরুষ। তাঁরা নিজ স্বার্থের চিন্তা করে কোন কর্মের পরিকল্পনা গ্রহণ করতেন না। তাই
তাঁদের অন্তরে ব্যবসায়িক বুদ্ধি কাজ করতো না ও মন- বুদ্ধি- অহংকার তাঁদেরকে এক
সত্য থেকে বিচলিত করতে পারতো না। বৈদিক ঋষিদের সাথে বিরোধীতা করেও সত্যবিরোধীরা স্বাভাবিকভাবে চূর্ণবিচূর্ণ হৃদয়
নিয়ে ও ব্যর্থ মনোরথ নিয়ে পুনঃ অন্ধকারে ফিরে যেতো। এই সব আসুরিক শক্তির লোকের
সম্পদ – ধন- দৌলত- অর্থ – লোকবল কোনকিছুই কাজে লাগতো না বৈদিক যুগে আলোর জগতে
বিচরণ করার জন্য। তাদের স্ত্রী- কন্যা- পুত্র সকলেই অশান্তির আগুনে জ্বলে পুড়ে
মরতো এই আসুরিক স্বভাবের লোকদের কবলে বন্দী থেকে। বর্তমান যুগেও সন্ত্রাসবাদী
মানুষের নৈতিক- সামাজিক- রাষ্ট্রীয় –জাতীয় ও ধার্মিক চরিত্র না থাকায় তারা
সত্যবিরোধী হয়ে পরিবার- সমাজ –রাষ্ট্র –জাতি- নিজের মানবিক ধর্ম সকলের কলঙ্ক হয়ে
নিজের স্ত্রী –পুত্র –কন্যা- পিতা – মাতা সকলকে অশান্তির আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে
মারছে। এই শ্রেণির মানুষগুলোর কোন ব্যক্তিগত- সামাজিক- পারিবারিক- রাষ্ট্রীয় ও
জাতীয় চরিত্র বলে কিছুই নাই অথচ এরা বলছে তারা ধর্মযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহিদ
হচ্ছে, আবার দেখা যাচ্ছে এসব লোকের পিছনেই সমর্থন বেশী। যারা এসব লোককে সমর্থন
করছে – তাদের জানা উচিত, যারা ধর্মযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তাদের চরিত্র হবে
ব্যক্তিগত- পারিবারিক- সামাজিক- নৈতিক- রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় দিক থেকে উজ্জ্বল। তাই
নিশ্চয় সমর্থনকারীদেরও সেই চরিত্র না থাকায় তারাও একই নরকের আগুন ভক্ষণ করে
সংসারের সবায়কে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারছে ও নিজেও সেই আগুনে জ্বলছে। তাই আসুন আমরা
সকলেই বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে আগে আমাদের মানবিক- জাতীয়- নৈতিক- আত্মিক-
সামাজিক- রাষ্ট্রীয় ও ধার্মিক চরিত্র গঠনে উদ্যোগী হই, তবেই সকলের পারিবারিক
সমস্যা থেকে শুরু করে করে পরকালের সমস্যা সহ সব সমস্যার সমাধান অলৌকিকভাবে সমাধান
হয়ে যাবে আলোর গতিতে। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।