বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৬/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও ঈশ্বরের সব কাজই মহাসত্য
ও যুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।]
কেউ ইচ্ছা করলেই বেদ যজ্ঞ করে নিজেকে
পবিত্র করতে পারবে না। যখন যার সময় হবে তখনি সে এই যজ্ঞ করার অধিকার লাভ করবে।
আমরা কেউ এখানে নিজের ইচ্ছায় যেমন মানব দেহ ধারণ করি নি, তেমনি নিজের ইচ্ছায় কেউ
শুভদিকে পরিচালিত হবার সুযোগও পেতে পারি না। যদি সবায় এই সুযোগ পেতাম তাহলে এই
পৃথিবীকে অভিনয় মঞ্চ বলা হতো না। কে কিসের অভিনয় করবে তা বিধাতা ঠিক করে তার
ভাগ্যলিপি তিনি গলায় ঝুলিয়ে দেন। এই ভাগ্যলিপি পড়েই মানুষকে নিজের ওজন বুঝে বেদ
যজ্ঞ বা ধর্মযুদ্ধ করতে হয়। নিজের ভাগ্যলিপিকে জানা বা নিজেকে জানাই হচ্ছে মানুষের
বেদ শিক্ষা। এই বেদের জ্ঞান লাভ হলেই মানুষ দেখতে পাবে তার নিজের ভাগ্যচক্র এক
মহাসত্য ও যুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে। কালের কবলে পড়ে এই
ভাগ্যচক্র বিভিন্ন রঙ্গে রঙ্গিত হয়ে ফুটে উঠছে। প্রত্যেকের জীবন এক মহাসত্য ও
যুক্তির ধারার উপর প্রতিষ্ঠিত, এখানে আইন ভঙ্গ করে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। এই দুনিয়ার জীবন কয়েকদিনের রঙ্গমঞ্চের
অভিনয় হলেও এ জীবন মহাসত্য ও যুক্তির উপরেই প্রতিষ্ঠিত। এখানে অভিনয় করতে এসে কেউ
যদি নিজের বানানো কথা বলে যা যুক্তি- তর্ক – বিজ্ঞানের আলোতে উজ্জ্বল নয়, তবে তো
সে নিজের পরকাল বা ভবিষ্যৎ নিজেই তৈরী করে নিবে স্বাধীনভাবে নরকে বা অন্ধকার ঘরে
যাবার জন্য। ঈশ্বর মানুষকে নিজের মতো করে তৈরী করেছেন বিবেক দান করে ও সত্য মিথ্যা
বিচারের শক্তি দান করে, যারা মহাসত্যের দিকে মুখ করে নিজের কর্তব্য কর্ম করে চলে
তারাই ধন্য তাঁর রাজত্বে। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।