বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ- ১৩/ ০৫/ ২০১৬ আজকের আলোচ্য
বিষয়ঃ-[ বেদ যজ্ঞ করে গুণবতী স্ত্রী হও – গুণবতী স্ত্রী স্বামীর মুকুট স্বরূপ হয়ে তার সংসার বেদের আলোতে আলোকিত করে ধরে রাখে।]
বেদ যজ্ঞ সংসারে করে চলো স্বামী – স্ত্রী এক মন
ও আত্মা হয়ে। নারী-পুরুষ বা স্বামী-
স্ত্রী এক পাখীর দুই ডানা। এক ডানায় ভর করে কেউ উড়ে যেতে পারবে না। প্রকৃত সত্যকে
জেনে যারা বিবাহসুত্রে আবদ্ধ হয় ও সংসারে উভয়ে বেদ যজ্ঞ করে নিজের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় তারা ছোটো কুটিরে
বাস করেও স্বর্গ সুখ ভোগ করে। যে স্বামীর স্ত্রী নিজের ঘরকে ঈশ্বরের ঘর ভেবে
পবিত্র রাখে সেই তো তাঁর গুণে গুণবতী হয়ে উঠে। তাঁর কর্মকুশলতা পবিত্রতা, ধর্মশীলতা, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা স্বামীর মুকুট স্বরূপ শোভা পায় সংসারে।
তাই নারীদের শিক্ষা হচ্ছে জাতীয় জ্ঞান, মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিক জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক
জ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। এই শিক্ষায় তাদের অন্তর জগতকে শাসন করে পবিত্র করে তোলে।
যে নারী নিজের অন্তর জগতকে
বেদের জ্ঞান দ্বারা শাসন করার কৌশল জানে
না তার গুণের প্রকাশ ঘটে না সংসারে। ফলস্বরূপ সংসারে সর্বদা অশান্তি অভাব অভিযোগ
লেগেই থাকে।তারা নিজের স্বামীকেও
নিজ গুনের দ্বারা বশে আনতে সক্ষম হয় না। তখন এক পাখির দুই মন ও আত্মা হওয়াতে তাদের যে সন্তান হয় তারা ধর্মহীন শংকরজাতের
সন্তান রূপে ভূমিষ্ঠ হয়।এই শংকরজাতের সন্তানরা অবিশ্বাসী অজ্ঞতার অন্ধকারে থেকে
প্রকৃত সত্যকে জানতে চেষ্টা করে না। তারা সবাই মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। তারা
সামাজিকতার ভয়ে ভদ্রতার মুখোশ পড়ে থাকলেও তারা অন্তর জগতকে শাসন করে সত্যকে জেনে
জ্ঞানী হয়ে উঠতে পারে না।নারীর গর্ভ থেকে সন্তান সন্ততিকে জন্ম নিতে হয়। সেই
গর্ভেই মায়ের নিকট থেকে তাদের স্বভাব আচার আচরণ ও নৈতিক জ্ঞানের শিক্ষা হয়ে যায়।
তাই যে গুণবতী নারী-- তার ছেলেমেয়ে সে সব গুণের অধিকারী হয়েই জন্ম গ্রহণ
করে। পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়ে তাদেরকে সে সব গুণ অর্জনের জন্য বেশি কসরত করতে হয় না।
এই গুণবতী নারীরা যেমন তাঁর সন্তান সন্ততি নিয়ে গর্বিত হয় তেমনি তাঁর স্বামীরও মুখ
উজ্জ্বল করে সেই সন্তান সন্ততি। তাই পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অন্তর জগত শাসনের
শিক্ষার ব্যবস্থা বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে অবশ্যই প্রতিটি পরিবারে একান্ত প্রয়োজন। তোমরা তোমাদের ঈশ্বরকে জানো ও ভালবাসো—তিনি তোমাদের অন্তরে বাস করছেন। তিনিই তোমাদের সদগুরু ও শিক্ষাগুরু তাই সদায় তাঁর আশ্রয়ে থেকে বেদ যজ্ঞ করে বেদের জ্ঞান সাগরে স্নান করে পবিত্র
হয়ে সংসারে বিরাজ করো। এই শিক্ষাটা প্রতিটি
মানুষ পেলে আর কেউ অন্তরকে অপবিত্র করতে যাবে না তার মন্দির-মসজিদ- গির্জা চিন্তা
করে। এই ভয়ে অতি সহজে মানুষ তাঁর অন্তর জগতকে শাসন করে নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন এবং সমস্ত কুচিন্তা- কুকাজ- কুশিক্ষা- কুসঙ্গ –
কুসংস্কার থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে সুন্দর পরিবেশ নিজ নিজ গৃহে নির্মাণ করে সেই
গৃহকে স্বর্গ উদ্দ্যানে পরিণত করে ধরে রাখতে পারবেন পরিবারের সবার কল্যাণের জন্য। হরি ওঁ তৎ সৎ।