Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে জীবাত্মাকে নির্বিকল্প সমাধিতে রেখে তোমার সনাতন ধর্মের শিবশক্তিকে নিয়ে জাগ্রত থাকো।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে জীবাত্মাকে নির্বিকল্প সমাধিতে রেখে তোমার সনাতন ধর্মের শিবশক্তিকে নিয়ে জাগ্রত থাকো।


[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে জীবাত্মাকে নির্বিকল্প সমাধিতে রেখে  তোমার সনাতন ধর্মের শিবশক্তিকে নিয়ে জাগ্রত থাকো।]
জীবাত্মা আর পরমাত্মা একই হলেও জীবাত্মা মায়া- মোহতে আবদ্ধ কিন্তু পরমাত্মা সর্ব অবস্থা থেকে মুক্ত। তাই মানুষ যখনি নিজের সনাতন রূপ নিয়ে সনাতনী মা কালীর শরণাগত হয় তখনি তিনি জীবাত্মাকে নির্বিকল্প সমাধিতে রেখে জীবাত্মার রূপান্তর ঘটিয়ে সেই শক্তিকে তিনি পরব্রহ্ম শিবশক্তি নিয়ে জেগে উঠেন মানুষের অন্তরে। জীবাত্মা বিষয়- বস্তুর মোহে আচ্ছন্ন থেকে নিজের হৃদয় মন্দিরের পরব্রহ্মের সাথে সেতু বন্ধন করে তাঁকে দেখতে পান না। সনাতনী মা একমাত্র পারেন তাঁর সন্তানকে এই বন্ধন থেকে মুক্ত করে পরব্রহ্মের সাথে যুক্ত করতে। এই অবস্থা প্রাপ্ত হলে আর জীব তখন জীব থাকেন না তিনি শিব হয়ে অবস্থান করেন এই ব্রহ্মাণ্ডের বুকে। আমরা মায়ের পায়ের তলায় যে শিব মূর্তি দেখতে পায় তা হলো নির্বিকল্প জীবাত্মার শিবরূপ। এই জীবাত্মার অজ্ঞান- অজ্ঞতা- মোহরূপ কালিমা বিধৌত করে তিনি সন্তানকে নিয়ে জাগ্রত করে তুলে ধরেন এক পরব্রহ্মের কোলে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা সবাই এক পরব্রহ্মের বীজ থেকে উৎপন্ন মা মহামায়া- মাকালীরূপী প্রকৃতি মায়ের গর্ভ থেকে। তাই আমাদেরকে তথা জীবাত্মাকে একমাত্র আমাদের এই পিতা- মাতাই সদগুরু হয়ে মুক্ত করে ব্রহ্মজ্ঞান দান করে মুক্ত করতে পারেন। তাই যদি কেউ মাতাকে অবজ্ঞা করে পিতার সান্নিধ্য চান কিংবা পিতাকে অবজ্ঞা করে মাতার সান্নিধ্য চান কখনও তা পেতে পারেন না – এরূপ জীবাত্মা বা তাঁদের সন্তান সবার দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide