[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও একজন মানুষকে হত্যা করার অর্থ সমস্ত মানব জাতিকে
হত্যা করার পাপ তোমাকে বহন করতে হবে।]
যে শাস্ত্র গ্রন্থ মানুষকে হত্যা করার, বন্দী
করার, অবরোধ করার ও ওত পেতে থেকে পৌত্তলিকদের ধরে নির্মম অত্যাচার সহ হত্যা করতে
শিখায় তা পাঠ করে কেউ নিজের ধর্ম রক্ষা করতে সক্ষম হয় না। এই গ্রন্থ পাঠ মানেই
মানবিকতার অবক্ষয়। আজ সারা বিশ্বে কেনো মানবিকতাকে এক শ্রেণির মানুষ নির্বিচারে
হত্যা করে চলেছে। এই জগতের কোন মানুষ পৌত্তলিক নয়? যারায় এই পার্থিব জগতের সম্পদকে
নিজের ভেবে- সেই সম্পদকে ভালবাসে ও আঁকড়ে ধরে জীবন অতিবাহিত করে তাঁরা তো সবায়
ঈশ্বরের চোখে পৌত্তলিক। আর যারা এই চাকচিক্যময় জগতের সমস্ত সম্পদকে ঈশ্বরের ভেবে
কেবল জীবন ধারণের তা গ্রহণ করে সদায় ঈশ্বরের প্রেমে মশগুল হয়ে থাকেন তাঁরাই কেবল
এই পৌত্তলিকতার রোগ থেকে মুক্ত পুরুষ। একজন শিশু পুতুল খুব ভালবাসে- তার বাবা তাকে
একটা পুতুল কিনে দিল—কিছুদিনের জন্য সেই পুতুলটা ঐ শিশুর প্রাণের থেকেও প্রিয় হয়ে
গেলো। তাহলে কি শাস্ত্র বাক্য মান্য করে এই ধর্মের পোশাকধারীগণ সেই শিশু ও তার
পিতামাতাকে হত্যা করবেন—বন্দী করবেন- অবরোধ করবেন ও তাদেরকে হত্যা করার জন্য ওত
পেতে বসে থাকবেন- সুযোগ পেলেই সেই পরিবারকে হত্যা করবেন? ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ
শান্তিঃ।