[ বেদ যজ্ঞের শিখায়
একমাত্র মানুষের অন্ধত্ব মোচন করতে পারে।]
অন্ধ ব্যক্তি পথ দেখিয়ে মানুষকে আলোর প্রদেশে নিয়ে যেতে পারে না-কেবল সেই
অভীষ্ট স্থানে নিয়ে যাবার প্রলোভন দেখিয়ে সে নিজেও সেই স্থানে পৌঁছাতে পারে না –
সেই সাথে সঙ্গীদেরও তথায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয় না। পথ মধ্যে কেবল কষ্ট করতে থাকে,
কখনো পায়ে কাঁটা ঢুকে, কখনো গর্তে পড়ে, কখনো ইট পাথরে ধাক্কা খায়, আবার কখনো
প্রচীরের সাথে ধাক্কা আবার কখনো পশু আদির সাথে ধাক্কা খেয়ে বহু কষ্টে তাঁরা অন্ধের
সাথে পথ চলতে থাকে। এতো কষ্ট সত্ত্বেও তাঁরা অন্ধ ব্যক্তিকে ত্যাগ করে আলোর পথে
আসতে পারে না মুক্ত হয়ে। এই অন্ধ
ব্যক্তিরা নিজেদের বুদ্ধিমান, চতুর, বিদ্বান মনে করে বিদ্যা-বুদ্ধির মিথ্যাভিমানী
হয়ে নিজ শাস্ত্রকে অবহেলা করে চলেছেন। অন্ধ হয়ে বিষয় –বস্তু ও ভোগ্যসমূহের
প্রত্যক্ষ সুখকেই তাঁরা ঈশ্বরের পথ রূপে সর্বত্র তুলে ধরে মানুষকে আরও অন্ধ করে তুলছেন--মানব-
জীবনের অমূল্য সময় ব্যর্থ ও নষ্ট করে দিয়ে। মানব শিশু যে বেদ নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়- সেই
সনাতন বেদকে সমাজের কালী মানে কালো রঙের জিহ্বা ও করালী রূপ অর্থাৎ আগুন লাগিয়ে
দেওয়ার রূপ নিয়ে বিনষ্ট করে দেয়। ফলস্বরূপ তার মনোজবা আর মায়ের চরণে ফুটে উঠে না ও
তার অন্ধত্বের বিনাশ হয় না। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।