[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমেই উগ্রপন্থী- সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বীজ ধ্বংস
করতে হবে।]
আজ সারা পৃথিবী জুড়ে মানুষ হিংস্র প্রকৃতির
হয়ে গেছে। কেন প্রত্যেক দেশে উগ্রপন্থীর সৃষ্টি হচ্ছে—তা কেউ ভেবে দেখেছেন কি?
শিক্ষা শেষে মানুষ বেকার হয়ে থাকবে কয়েন? কেনো তারা বেকার কেন্দ্রে গিয়ে লাইন দিয়ে
নাম লেখাবে? পৃথিবীতে কি কাজের অভাব না খাদ্যের অভাব? উগ্রপন্থী সৃষ্টি করার মূলে
কে বা কারা—একবার ভেবে দেখুন তো? পৃথিবীতে কেউ উগ্রবাদী- সন্ত্রাসবাদী-
সাম্প্রদায়িক হয়ে জন্মায় না—মানুষকে উগ্রবাদী- সন্ত্রাসবাদী- সাম্প্রদায়িক বানানো
হয়। কোন স্বার্থে তাদেরকে সেই পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে—একবার ভেবে দেখুন তো? তাদেরও
প্রাণ আছে, মা আছে- তাদেরও সংসার করার বাসনা আছে, তবে কেনো তাদের সেই ইচ্ছা পূরণে
বাধা দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে? পৃথিবীতে একটি মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না—যদি সে
প্রকৃত শিক্ষা ও বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পায়। একা ভোগ করবো অপরকে
বঞ্চিত করে—এই নীতিতে কোন দেশেই শান্তি আসতে পারে না। উগ্রপন্থী দমনে যত সরকারী
টাকা খরচ করা হয়, তা দিয়ে যদি বেদ যজ্ঞের
মাধ্যমে তাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা সবদেশ একজোট হয়ে গ্রহণ করে তবে কোন
দেশে-ই এসবের চিহ্ন পাওয়া যাবে না। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।