[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও এই পৃথিবীতে মনুষ্য
জীবনের উদ্দেশ্য কি?]
এই পৃথিবীতে মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য স্বরূপ
সত্তাকে জানা। আমি কে? এই সাড়ে তিন হাত দেহটাই কি আমি? তাহলে আমি এখানে আছি, আমার
মন ছুট-ছাট করে এদিক ওদিক যাচ্ছে দূরে নিকটে কি করে? মৃত্যুর পরে আমার দেহটা তো
যেমন তেমনিই রইলো এখানে পড়ে। তাহলে গেল কে?এখানে এলাম-ই বা কিভাবে?বারবার জন্ম
মৃত্যুর ছকেই বা পড়তে হচ্ছে কেন?-সাগরের জল নদী বেয়ে খাল বেয়ে নালার মধ্যে ঢুকছে।ঐ
নালা খালের জলের উদ্দেশ্য বা বিপরীত গতি হল আবার সাগরের অসীমতায় মেশা।তেমনি
সৃষ্টির আগে আমরা একদিন ঐ মহাশূন্য মহাকাশের বিশ্ব ব্যাপ্তিতে পরম চৈতন্য আকারে
বুঁদ হয়ে ছিলাম। সৃষ্টির ধারায় ধারায় প্রকৃতির দুর্নিবার গতিতে আমরা এই মানুষের আকার পেয়েছি।
আমাদেরও উদ্দেশ্য সেই অনন্ত গতির সাথে গতি মেশানো। সাগরের জল বরফ হয়ে সাগরেই
ভাসছে। বরফের সাধনা নিজেকে গলিয়ে আবার ঐ সাগরের গতিতে গতিময় হওয়া। তেমনি আমাদেরও সাধনা বেদ যজ্ঞ করতে করেতেই দেহভাণ্ডকে ভেঙ্গে- দেহের বোধকে
হারিয়ে ঐ বিশ্বচৈতন্যের সাথে একাত্ম হওয়া বিরাটত্বে নিজেকে মিশিয়ে দেওয়া। তাই
ক্ষুদ্র চিন্তা ত্যাগ করে নিজেকে সর্বদা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী ভেবে মুক্ত চিত্তে
বেদ যজ্ঞ করে যাওয়া। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।