[বেদ যজ্ঞ করে বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতিচ্ছবি নিজের হৃদয় মন্দিরে
প্রতিষ্ঠা কর।]
মানব জীবনের শেষ ভাগ অমৃত খণ্ড বা শ্রীকৃষ্ণ
খণ্ড। বেদ যজ্ঞ করতে করতে মানুষ যখন এই খণ্ডে উপনীত হয় তখন মানব জীবন হয়ে উঠে
শ্রীকৃষ্ণময়। সৃষ্টির সব কিছুর মধ্যে অমৃত বা শ্রীকৃষ্ণের প্রতিচ্ছবি তিনি দেখতে
পান। নিজেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রূপে দেখতে পেয়ে তখন তিনি নিজের পূজা নিজে শুরু করে
দেন। তাঁর দেহ মনে ফুটে উঠে এক জ্যোতির্ময় ভাব। সারা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির
মূলে তিনি নিজে তা উপলব্ধি করে সর্বদা এক আনন্দময় জগতে অধিষ্ঠান করতে থাকেন। তাঁর
লৌকিক দেহ তখন হয়ে উঠে বিশ্ব- ব্রহ্মাণ্ডের সর্ব লোকের তীর্থক্ষেত্র বা
ধর্মক্ষেত্র। এই সময় তিনি শ্রীকৃষ্ণের বাল্য লীলা, কৈশর লীলা ও যৌবনের কর্মলীলা
উপলব্ধি করে আনন্দে আত্মহারা হয়ে থাকেন। মহাভারতের কুরুক্ষেত্র- ধর্মক্ষেত্রে
সর্বদা বিচরণ করে তিনি ভগবানের বিশ্বরূপ দর্শন করতে থাকেন। তাঁর কাছে শাস্ত্রের
সমস্ত রূপক উন্মোচিত হয়ে যায়। সব শাস্ত্রই তাঁর কাছে সহজ –সরল ভাবে ধরা পড়ে।
আত্মজ্ঞানে ভরপুর হয়ে সর্বত্র বিচরণ করেও লৌকিক সমস্ত কর্মের ঊর্ধ্বে অবস্থান
করেন। এই সহজ সরল কৃষ্ণ যোগীকে কে চিনবেন? ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।