[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরা বিশ্বমাতার আরাধনা করে ঋক,সাম, যজুঃ,অথর্ব এবং
অন্যান্য বিদ্যার ফললাভ করো।]
মা মহামায়া দুর্গা বিশ্বমাতা
আদিবিদ্যাস্বরূপিনী। তিনি হলেন কামযোনি কামকলারূপিণী। বিশ্বরূপী মূর্তিতে তিনিই
ব্রহ্মাণ্ডময় ছড়িয়ে পড়েন, আবার সংহত হয়ে তিনিই গুহায়িত হন। ঊর্ধ্বগামী
জ্যোতিস্বরূপা তমোনাশিনী জরাহীন বিশ্বমাতা হলেন উদ্যম উৎসাহ উদ্যোগের প্রতীক, তিনি
অমৃতচন্দ্র কিরণ নির্জরের মতন আনন্দময়ী ও আনন্দদাত্রী। তিনিই নিজ মায়ার বিজ্ঞান
দ্বারা সমস্ত জগৎ সমূহ নিয়ন্ত্রিত করেন। যিনি নিজেকে বিশ্বমাতার সন্তান ভেবে
বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে তার স্তুতি- পুজা- আরাধনা করেন, তিনি ঋক, সাম, যজুঃ
অথর্ব বেদের জ্ঞান সহ অন্যান্য বিদ্যার ফললাভ করেন—এটাই হল বেদের রহস্যবিদ্যা। ওঁ
হ্রীং ওঁ হ্রীং মা দুর্গায় নম।