Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা ইন্দ্র - বরুণ - অগ্নির পূজা করে ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে সকলকে প্রেমের জগতে নিয়ে এসো।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা ইন্দ্র - বরুণ - অগ্নির পূজা করে ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে সকলকে প্রেমের জগতে নিয়ে এসো।


[বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা ইন্দ্র- বরুণ- অগ্নির পূজা করে ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে সকলকে প্রেমের জগতে নিয়ে এসো।]
  তোমরা তো জানো জল ছাড়া কোন খাদ্য উৎপাদিত হতে পারে না। তাই তো জলের অপর নাম জীবন। বেদ যজ্ঞে তাই জলের সাধনা থেকে অন্নের সাধনাকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে। যিনি এই জলের গুরুত্ব বুঝে ভুমিকে জল দান করেন তিনি-ই ইন্দ্র। ভুমি জল পেয়ে অন্ন উৎপাদন করে। সেই অন্নে জীবের প্রাণের শক্তি লুকিয়ে থাকে। এই জলকে যিনি দেবতা ভেবে আরাধনা করেন তিনি-ই শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী। এই রহস্য যিনি জানেন তাঁর হৃদয়-বেদ অচিরেই উন্মোচিত হয়ে যায়। জল থেকেও শ্রেষ্ঠ হচ্ছে তেজ বা অগ্নি। অগ্নির জন্ম জল থেকে। এই অগ্নির জন্ম বেদ যজ্ঞের কারণে। জন্ম থেকেই সে পৃথিবীর বুকে যজ্ঞ করে চলেছে। এই যজ্ঞের ফলেই পৃথিবীর বুকে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে অন্ন উৎপাদিত হচ্ছে। সেই অন্ন-ই মানব দেহে তেজ বা অগ্নি রূপে প্রবেশ করে অহরহ এখানে যজ্ঞ করে চলেছে। তাই অগ্নি বা তেজের উপাসনা করেই বেদ বা জ্ঞান লাভ করতে হয়। এই অগ্নিই ঘটক হয়ে সকলকে প্রেমের জগত তৈরী করে দিচ্ছে যার বিশালত্ব কোন ভাবেই পরিমাপ করা সম্ভব নয়--- আর এই প্রেমের জগত থেকে ছিন্ন হয়ে কোথাও কারও পালাবারও পথ নায়। ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide