[বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে চিত্তকে স্থির করে ভয়শূন্য করে গড়ে তুলো।]
চিত্ত যার ভয়শূন্য সেই তো বীর। কথায় আছে
বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। সংকল্প গ্রহণ করে কাজের সমাপ্তি কেবল চিত্ত যাদের ধীর স্থির
তারাই ঘটাতে পারে। তারাই জগতে বীর নামে ভূষিত হয়। তারাই বসুন্ধরাকে ভোগ করে থাকে
ত্যাগের মাধ্যমে। বীর ছাড়া কেউ নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পারে না সবার মঙ্গলের জন্যে—আর
যাদের চিত্ত ধীর স্থির নয় তাদের বুদ্ধি সদা টলমল করে—তাই তাদের শক্তি কেবল অপচয় হয়—সেই
শক্তি দ্বারা কোন মঙ্গলজনক কাজ হতে পারে না। মানব দেহকে নিয়ন্ত্রণ করে চিত্ত। তাই
এর গুরুত্ব সংকল্প থেকেও বেশী। যে মানুষ যত একে সুন্দর করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে,
সে তত সমাজে যশ, খ্যাতি, শ্রীবৃদ্ধি লাভ করবে। এখানেই রয়েছে মানব দেহের
জ্ঞানভাণ্ডার। এখানেই লুকিয়ে আছে মানব দেহের সৌন্দর্য চেতনা ও শুভ শক্তির খনি।
চিত্তের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে সকলেই চায়। কিন্তু কিভাবে এই
দুর্বলতাকে কাটিয়ে উঠে ভয়শূন্য চিত্তে বীরের ন্যায় জীবনযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া যায়? ভয়
মানুষের একটা রোগ। এই রোগ থেকে মুক্ত করতে পারে একমাত্র বেদ যজ্ঞ। এই বেদ যজ্ঞ না
করার জন্যেই পৃথিবীর বুকে মানুষ আজ ধর্মহীন হয়ে দুর্বল থেকে দুর্বলতম হয়ে পড়ছে।
তাই আমরা যদি সারা বিশ্বের মানব জাতির প্রতি নজর দিই তাহলে দেখতে পাবো—কোটিতে গুটি
লোক ভয়শূন্য চিত্তে সত্যের উপর দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছেন ও নিজের কর্তব্য কর্ম করে
চলেছেন সবার মঙ্গলের জন্যে। ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।