[বেদ যজ্ঞ করে তোমরা সনাতন ধর্মের ধ্যান-জ্ঞান- বিজ্ঞানের দুয়ার সবার
জন্য খুলে দাও।]
নির্ভয় চিত্ত মানুষকে একমাত্র উপহার দিতে পারে
ধ্যান। তাই চিত্ত থেকে ধ্যান শ্রেষ্ঠ। ধ্যানের দ্বারা হৃদয় বেদ খুলে গেলেই চিত্ত
স্থির হয়ে যায়। ধ্যান যোগে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে নিজ দেহে যেমন দেখা যায় তেমন সুক্ষ
দেহ গ্রহণ করে বিশ্বচরাচর মুক্ত হয়ে পরিভ্রমণ করা যায়। ধ্যান বা মনন না করলে
জ্ঞানের উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে না। তাই মানব জীবনে ধ্যান অপরিহার্য। এই ধ্যানের ফলে
মানব দেহের প্রতিটি কোষ তাদের খাদ্য লাভ করে সজীবতা লাভ করে। ফলে সজাগ দৃষ্টি ও
সচেতনা এনে জীবনকে সফল করে তোলে এই ধ্যান। সনাতন ধর্মে ধ্যান থেকেও বিজ্ঞানের
সাধনা শ্রেষ্ঠ সাধনা। বিজ্ঞান পঞ্চভুত ও মানবদেহের বুদ্ধি, মন ও অহংকারের সৃষ্টি।
ধ্যান থেকেই বিজ্ঞানের জন্ম। তাই বিজ্ঞানকে জানলে ধ্যানের ফল লাভ করা যায়। বর্তমান
বিজ্ঞানের যুগে তাই ধ্যানের প্রচলন কমে এসেছে। যে জিনিষ বা জ্ঞান বিজ্ঞানের
আশীর্বাদে পাওয়া যাচ্ছে তা জানার জন্য বা পাবার জন্য মানুষ আর ধ্যানের আশ্রয় নিতে
চাইছে না। কিন্তু মানব দেহে ধ্যানের মাধ্যমে বিজ্ঞানের জন্ম দেওয়াকেই বিজ্ঞানের
শ্রেষ্ঠাটা এখানে দেখানো হয়েছে—এটাই সনাতন ধর্মের শ্রেষ্ঠ পন্থা। ওঁ শান্তি শান্তি
শান্তি।